AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Slow Living Trend: জীবনটা কি খুব ফাস্ট? ভাল থাকতে স্লো মোশনে বাঁচুন, গা ভাসান ‘স্লো লিভিং ট্রেন্ডে’

Lifestyle News: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্লো লিভিং বা ধীরে চলার জীবনযাত্রা হয়ে উঠছে একখানা নতুন ট্রেন্ড। যা শুধু একটি লাইফস্টাইল নয়, বরং এক ধরণের মানসিক শান্তির চর্চার পথ প্রশস্ত করে, যা ব্যস্ত জীবনে ভারসাম্য এনে দিতে সাহায্য করে।

Slow Living Trend: জীবনটা কি খুব ফাস্ট? ভাল থাকতে স্লো মোশনে বাঁচুন, গা ভাসান 'স্লো লিভিং ট্রেন্ডে'
Slow Living Trend: জীবনটা কি খুব ফাস্ট? ভাল থাকতে স্লো মোশনে বাঁচুন, গা ভাসান 'স্লো লিভিং ট্রেন্ডে'Image Credit: Olga Pankova/Moment/Getty Images
| Updated on: Sep 18, 2025 | 4:50 PM
Share

আজকালকার দৌড়ঝাঁপময় জীবনে আমরা প্রায়শই সময়ের পিছনে ছুটতে ছুটতে নিজের সঙ্গে সময় কাটাতেই ভুলে যাই। অথচ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্লো লিভিং বা ধীরে চলার জীবনযাত্রা হয়ে উঠছে একখানা নতুন ট্রেন্ড। যা শুধু একটি লাইফস্টাইল নয়, বরং এক ধরণের মানসিক শান্তির চর্চার পথ প্রশস্ত করে, যা ব্যস্ত জীবনে ভারসাম্য এনে দিতে সাহায্য করে। কেন মানবেন এই ট্রেন্ড?

স্লো লিভিং কী?

স্লো লিভিং এর অর্থ হল জীবনের গতি কমিয়ে দিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করা। যেখানে ফাস্ট ফুড, ফাস্ট ট্র্যাভেল বা মাল্টিটাস্কিং আমাদের জীবনকে অনেক বেশি ক্লান্ত করে তোলে। আর সেখানে স্লো লিভিং শেখায় যা করবে প্রয়োজনে কম করো, কিন্তু মন দিয়ে করো।

কেন জনপ্রিয় হচ্ছে স্লো লিভিং?

  • অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং ডিজিটাল ওভারলোডের কারণে অনেকের মানসিক ক্লান্তি বাড়ছে।
  • আজকাল প্রচুর মানুষ মানসিক শান্তি এবং নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুঁজছে।
  • যত দিন যাচ্ছে মিনিমালিজম ও টেকসই জীবনযাত্রার ধারণা জনপ্রিয় হচ্ছে।
  • করোনা মহামারির সময় ঘরোয়া জীবন মানুষকে ধীরে চলার সৌন্দর্য শিখিয়েছে।

স্লো লিভিং-এর মানসিক উপকারিতা কী কী?

  • স্ট্রেস কমায় – যখনও কোনও ব্যক্তি জীবনে ধীরে চলবেন, তার মন ও শরীর দুটোই রিল্যাক্স হয়।
  • মনোযোগ বাড়ায় – একসঙ্গে হাজারটা কাজ যদি না করেন, তা হলে একটি কাজে মনোযোগ দেওয়া সহজ হয়।
  • মানসিক স্বচ্ছতা আসে – অতিরিক্ত চাপমুক্ত হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
  • সেল্ফ-অ্যাওয়ারনেস বাড়ে – নিজের চাওয়া-পাওয়ার সঙ্গে একখানা সংযোগ তৈরি হয়।
  • ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলে – পরিবার এবং বন্ধুদের জন্য সময় বের করা সহজ হয়ে ওঠে।

কীভাবে চর্চা করবেন স্লো লিভিং?

  • সকালবেলায় কিছুটা সময় নীরবতায় কাটাতে হবে।
  • প্রতিদিন ডিজিটাল ডিটক্সের জন্য সময় বের করতে নিতে হবে।
  • মিনিমালিজম অনুসরণ করতে হবে, যার ফলে অপ্রয়োজনীয় জিনিস কমিয়ে ফেলতে হবে।
  • রোজ হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
  • খাবার সময় ফোন হাতে নেওয়া চলবে না। প্রতিটি খাবারের স্বাদ বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
  • শখের কাজ যেমন আঁকা, গান শোনা, বাগান পরিচর্চা করা—এই সব কাজে বেশি করে যোগ দিতে হবে।

স্লো লিভিং কোনও অলস জীবন নয়, বরং এক ব্যক্তির সচেতন জীবনদর্শন। যেখানে আমরা সময়ই শুধু খরচ করি না, বরং প্রতিটি সময় উপভোগ করি। দ্রুতগতির জীবনে একটুখানি ধীরে চলো নীতিই আমাদের মানসিক শান্তি, স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক এবং জীবনের সৌন্দর্য ফিরিয়ে দিতে পারে।