খেজুর আমাদের প্রত্যেকের শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু মহিলাদের জন্য এই ফল একটু বেশিই উপকারিতা প্রদান করে। মহিলাদের শারীরিক গঠন পুরুষদের থেকে আলাদা হয়। খেজুর খেলে মহিলাদের বিশেষ উপকারিতা মেলে।
খেজুরের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ভিটামিন বি৬ রয়েছে। তাছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ক্যালোরির পরিমাণও কম।
ওয়ার্ল্ড ক্যানসার ডেটার মতে, বিশ্বজুড়ে ১০ মিলিয়ন মহিলা ক্যানসারে আক্রান্ত। ফুসফুসের ক্যানসার, স্তন, স্কিন ও জরায়ুর মুখের ক্যানসার মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। খেজুর খেয়ে আপনি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারেন।
খেজুরের মধ্যে ফেনোলিক অ্যাসিড, ক্যারোটেনয়েড ও ফ্ল্যাভনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার কোষকে মুক্ত র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
গর্ভাবস্থায় খেজুর খুব উপযোগী। খেজুরের মধ্যে ভিটামিন বি৬ অর্থাৎ ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। এই পুষ্টি অন্তঃসত্ত্বায় ভীষণ জরুরি। তাছাড়া খেজুর নর্ম্যাল ডেলিভারিতে সাহায্য করে। প্রসবের সময় লেবর পেইন কমাতে সাহায্য করে।
অন্যদিকে, সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে সাহায্য করে খেজুর। খেজুরের মধ্যে থাকা ফলিক অ্যাসিড ভ্রূণকে যে কোনও ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি মা ও শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
খেজুরের মধ্যে আয়রন রয়েছে যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এতে স্ক্যাল্পের সমস্যা কমে এবং চুল পড়ার সমস্যা দূর হয়। গর্ভাবস্থায় কিংবা প্রসবের পর অনেকেই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। এই সময় খেজুর খেলে উপকার পেতে পারেন।
খেজুর ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এর মধ্যে ভিটামিন সি ও ডি রয়েছে। এটি ত্বক সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা থেকে আপনাকে দূরে রাখে। বলিরেখার মতো ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণগুলো কমিয়ে দিতে পারে খেজুর।
খেজুরের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি এবং গ্লাইসেমিক সূচকও কম। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরাও খেজুর খেতে পারেন। আর যেহেতু এতে ফাইবার রয়েছে, তাই খেজুর ওজন কমাতেও সাহায্য করে।