ঢাকা: কলকাতা শহর নিজের প্রথম মেট্রো পাওয়ার প্রায় ৪০ বছর বাদে মেট্রোরেল পেতে চলেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। গত রবিবার থেকে সেই মেট্রোরেলের ট্রায়াল রান শুরু হয়ে গিয়েছে ঢাকা শহরে। ঢাকার উত্তরা নর্থ স্টেশন থেকে পল্লবী পর্যন্ত আপাতত চারটি স্টেশনের মাঝ পরীক্ষামূলক দৌড় শুরু করেছে ঢাকা মেট্রো।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রং সবুজ ও লাল মেশানো। মেট্রো তৈরির ক্ষেত্রেও সেই রঙই প্রাধান্য পেয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মেট্রোর অগ্রভাগ এবং বগিগুলির দরজায় সেই সবুজ ও লাল রঙের ছটা রয়েছে। ট্রায়াল শুরু হয়ে গেলেও ঢাকার আমজনতার মেট্রোয় চড়তে ২০২২ সালের শেষ ভাগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রথম ধাপে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১০ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটে মেট্রো চালানো হবে। এর মধ্যে মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে। উত্তরার ডিপোটি সমতলের উপর নির্মিত হলেও বাকি সব স্টেশনগুলি শূন্যে। উড়ালপুলের মাধ্যমে সেগুলিকে যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এই মেট্রোটি সম্পূর্ণরূপে বিদ্যুৎ চালিত। এখানে লোকাল ট্রেন যেমন উপরে থাকা বিদ্যুৎবাহী তার থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহ করে, ঢাকার মেট্রোর ক্ষেত্রেও একই প্রযুক্তি নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোর এই রেকগুলি তৈরি করেছে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম। মোট ২৪ জোড়া ট্রেন নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই সংস্থাকে। আপাতত মোট ২০.১০ কিলোমিটার প্রস্তাবিত রুটের মধ্যে ৬৭ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে। পুরো প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হতে প্রায় ২০২৪ পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। তবে তার আগে ধাপে ধাপে মেট্রো চালু করে দেওয়া হবে।
এই গোটা প্রকল্পের বাস্তবায়নে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার খরচ করছে বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে জাপানের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা জাইকা প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য করেছে। আগামী বছরের মধ্যে মেট্রোরেল চালু হয়ে গেলে ঢাকা শহরের তীব্র যানজট থেকে মুক্তি মিলবে বলে আশা করছেন সে শহরের বাসিন্দারা।