দার্জিলিঙে একরাত কাটালেও গ্লেনারিজ়ে ব্রেকফাস্ট ছাড়া বাড়ি ফেরেন না কোনও বাঙালিই। শৈলশহরের কোলে বসে দার্জিলিং টি-তে চুমুক দেওয়ার মজা একমাত্র গ্লেনারিজ়ে। কিন্তু এই মজা এখন অতীত। শৈলশহরের এই জনপ্রিয় রেস্তরাঁয় আর মিলবে না দার্জিলিং চা। তবে তাতে খুব একটা প্রভাব পড়তে দেখা গেল না পর্যটন শিল্পে।
গ্লেনারিজ় থেকে দার্জিলিং-চা বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্ণধার অজয় এডওয়ার্ডস। চা বাগানের কর্মীদের পুজোর বোনাসকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে খুশি নয় কর্ণধার থেকে শুরু করে শ্রমিক। তাই না চাইতেও বন্ধ করা হল গ্লেনারিজ় থেকে দার্জিলিং-চা বিক্রি। কিন্তু গত শনিবার পর্যটকদের মধ্যে এ নিয়ে কোনও উত্তেজনা দেখা গেল না।
শৈলশহরের ১১০ বছরের ঐতিহ্য গ্লেনারিজ়। একশো বছরে দার্জিলিঙে নানা পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু বদলায়নি গ্লেনারিজ়ের ঐতিহ্য। তবে প্রথম থেকেই এই রেস্তরাঁ 'গ্লেনারিজ়' ছিল না। আগেকার দিনে একে ডাকা হত 'ভাদো' নামে। মালিকানা পরিবর্তনের সঙ্গে বদলে যায় নামও।
বর্তমানে গ্লেনারিজ় হল বেকারি এবং ক্যাফে। এর সঙ্গে রয়েছে দ্য বাজ বার নামের একটি বার। গ্লেনারিজ়ে বসে দার্জিলিং চায়ে চুমুক দিতে দিতে শৈলশহরকে উপভোগ করেননি, এমন বাঙালি কমই খুঁজে পাওয়া যাবে।
গ্লেনারিজ়ের প্রায় সাত ধরনের চা পাওয়া যায়। অসম চা, তুলসী গ্রিন টি, তুলসী জিঞ্জার টি এবং লেমন টি। সবচেয়ে পর্যটকদের মধ্যে দার্জিলিং টি-এর চাহিদাই সবচেয়ে বেশি ছিল গ্লেনারিজ়ে। কিন্তু পুজোর মরশুমে আপাতত গ্লেনারিজ়ে দার্জিলিং-চা বিক্রি বন্ধ।
কিন্তু গ্লেনারিজ়ে দার্জিলিং টি বন্ধ হলেও বিশেষ কোনও প্রভাব পড়েনি পর্যটন শিল্পে। গ্লেনারিজ়ে দার্জিলিং টি বন্ধ হলেও শৈলশহরের অন্যত্র আগের মতোই দার্জিলিং টি পাওয়া যাচ্ছে। শনিবার শৈলশহরের ম্যালে বসেও চা পান করতে দেখা গেল পর্যটকদের।
পর্যটকদের কথা অনুযায়ী, গ্লেনারিজ়ে চায়ের দাম তুলনামূলক বেশি। শৈলশহরের অন্য জায়গায়, বিশেষত ম্যালে কম টাকায় দার্জিলিং চা পাওয়া যায়। সুতরাং, গ্লেনারিজ়ে দার্জিলিং টি বন্ধ নিয়ে খুব বেশি মাথা ব্যথা নেই বাঙালি পর্যটকদের।