শীতের মরশুমে গলা ব্যথা, গলা খুসখুস এসব লেগেই থাকে। তাছাড়া ঘন ঘন যে হারে আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে তাতে জ্বর-সর্দির সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। এই সব সমস্যায় সমাধান লুকিয়ে রয়েছে আপনার হেঁশেলে।
আদার উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সকলেরই জানা। টাটকা আদা অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। একইভাবে, স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে শুকনো আদা। একে শুঁঠও বলা হয়। শ্বাসযন্ত্রের খেয়াল রাখা থেকে শুরু করে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে শুকনো আদা।
শুকনো আদার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। খাবারে শুকনো আদার গুঁড়ো মেশালে আপনি বদহজম, বুক জ্বালা, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
শুকনো আদা হজম ক্ষমতাকে উন্নত করে। এটি মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে দেয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাকে দূরে রাখে। এতে ওজন কমে। আপনিও যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে গরম জলে শুকনো আদার গুঁড়ো মিশিয়ে পান করতে পারেন।
কোলেস্টেরলের মাত্রাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে শুকনো আদা। ৪৫ দিনের দীর্ঘ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন ৩ গ্রাম করে শুকনো আদা খেলে এটি কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমিয়ে দেয়।
ঋতুস্রাব চলাকালীন অনেকের মধ্যেই তলপেটে ব্যথা, ডায়ারিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। ১৫০ জন মহিলার মধ্যে করা এক গবেষণাতে দেখা গিয়েছে, ঋতুস্রাবের প্রথম ৩ দিন ১ গ্রাম করে শুকনো আদা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিসের রোগীরাও শুকনো আদা খেতে পারেন। ২ গ্রাম করে শুকনো আদা খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ভাল ফলাফল পেতে সকালে খালি পেটে শুকনো আদা খান।
আপনি চাইলে বাড়িতেও শুকনো আদা বানিয়ে নিতে পারেন। রোদে টাটকা আদাকে শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। শুকনো আদার সঙ্গে নুন মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এই উপায়ে শুকনো আদা খেলে আপনি জয়েন্টের ব্যথা, যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।