AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kali Puja 2021: এই ৩ গ্রামে হয়না কোনও কালীপুজো, জানুন ডাকাত কালীর ইতিহাস

Hooghly: মা এতটাই জাগ্রত যে এই প্রতিমার পুজো ছাড়া অন্য কালী প্রতিমার পুজো করতে সাহস পায় না এলাকার মানুষজন।

| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2021 | 2:13 PM
Share
আর কয়েকদিনের অপেক্ষা। সামনেই কালীপুজো। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সাড়ম্বরে পালিত হবে পুজো। তার প্রস্তুতি চরমে। এদিকে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে সিঙ্গুরের ডাকাত কালী মন্দিরেও। তবে এই মন্দিরের ইতিহাস কিন্তু অনেক বছরের পুরোনো। প্রায় ৫০০ থেকে ৫৫০ বছর আগে সিঙ্গুরের ডাকাত কালি মন্দির স্থাপিত হয়েছিল। বৈদ্যবাটী-তারকেশ্বর রোডের পাশেই সিঙ্গুরের পুরুসোত্তমপুর এলাকায় এই ডাকাত কালী মন্দির রয়েছে।

আর কয়েকদিনের অপেক্ষা। সামনেই কালীপুজো। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সাড়ম্বরে পালিত হবে পুজো। তার প্রস্তুতি চরমে। এদিকে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে সিঙ্গুরের ডাকাত কালী মন্দিরেও। তবে এই মন্দিরের ইতিহাস কিন্তু অনেক বছরের পুরোনো। প্রায় ৫০০ থেকে ৫৫০ বছর আগে সিঙ্গুরের ডাকাত কালি মন্দির স্থাপিত হয়েছিল। বৈদ্যবাটী-তারকেশ্বর রোডের পাশেই সিঙ্গুরের পুরুসোত্তমপুর এলাকায় এই ডাকাত কালী মন্দির রয়েছে।

1 / 6
কথিত আছে, অসুস্থ ঠাকুর রামকৃষ্ণকে দেখতে মা সারদা কামারপুকুর থেকে দক্ষিণেশ্বর যাবার পথে রঘু ডাকাত ও গগন ডাকাত মায়ের পথ আটকে দাঁড়ায় ডাকাতির উদ্যেশ্যে। সেই সময় রক্ত চক্ষু মা কালীর মুখ দেখতে পায় ডাকাতরা। ভুল বুঝতে পেরে মা সারদার কাছে ক্ষমা চায়। সন্ধে নামায় সেই রাতে ডাকাতদের আস্তানায় মা সারদাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেয় । মা সারদাকে রাতে খেতে দেওয়া হয় চাল-কড়াই ভাজা। পরের দিন সকালে ডাকাতরা মা সারদাকে দক্ষিণেশ্বরে দিয়ে এসে ডাকাতি ছেড়ে দেয়।

কথিত আছে, অসুস্থ ঠাকুর রামকৃষ্ণকে দেখতে মা সারদা কামারপুকুর থেকে দক্ষিণেশ্বর যাবার পথে রঘু ডাকাত ও গগন ডাকাত মায়ের পথ আটকে দাঁড়ায় ডাকাতির উদ্যেশ্যে। সেই সময় রক্ত চক্ষু মা কালীর মুখ দেখতে পায় ডাকাতরা। ভুল বুঝতে পেরে মা সারদার কাছে ক্ষমা চায়। সন্ধে নামায় সেই রাতে ডাকাতদের আস্তানায় মা সারদাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেয় । মা সারদাকে রাতে খেতে দেওয়া হয় চাল-কড়াই ভাজা। পরের দিন সকালে ডাকাতরা মা সারদাকে দক্ষিণেশ্বরে দিয়ে এসে ডাকাতি ছেড়ে দেয়।

2 / 6
সেই থেকে কালীপুজোর দিনে মায়ের প্রথম নৈবেদ্য প্রসাদ হিসাবে চাল-কড়াই ভাজা দেওয়া হয়। এ ছাড়াও লুচি ভোগ, ফল দেওয়া হয় পুজোর প্রসাদ হিসাবে।বহু বছরের প্রচলিত প্রথা মেনে কালী পুজোর দিন চার প্রহরে চার বার পুজো ও ছাগ বলি হয়।

সেই থেকে কালীপুজোর দিনে মায়ের প্রথম নৈবেদ্য প্রসাদ হিসাবে চাল-কড়াই ভাজা দেওয়া হয়। এ ছাড়াও লুচি ভোগ, ফল দেওয়া হয় পুজোর প্রসাদ হিসাবে।বহু বছরের প্রচলিত প্রথা মেনে কালী পুজোর দিন চার প্রহরে চার বার পুজো ও ছাগ বলি হয়।

3 / 6
আরও কথিত আছে আগে এই এলাকায় পাশে সরস্বতী নদীর পাশে জনমানব শূন্য জঙ্গলে ডাকাতরা মাটির কুঁড়ে ঘর বানিয়ে ঘট পুজো করে ডাকাতি করতে যেত। আগে নরবলি হত। পরে বর্ধমানের রাজার দান করা জমিতে সিঙ্গুর থানার চালকেবাটি গ্রামের মোড়লরা এই মন্দির তৈরি করে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। কালি পুজোর দিন মোড়লদের পুজোর পর অন্য ভক্তদের পুজো নেওয়া হয়।

আরও কথিত আছে আগে এই এলাকায় পাশে সরস্বতী নদীর পাশে জনমানব শূন্য জঙ্গলে ডাকাতরা মাটির কুঁড়ে ঘর বানিয়ে ঘট পুজো করে ডাকাতি করতে যেত। আগে নরবলি হত। পরে বর্ধমানের রাজার দান করা জমিতে সিঙ্গুর থানার চালকেবাটি গ্রামের মোড়লরা এই মন্দির তৈরি করে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। কালি পুজোর দিন মোড়লদের পুজোর পর অন্য ভক্তদের পুজো নেওয়া হয়।

4 / 6
পুরসোত্তমপুর গ্রামে এই ডাকাত কালীর মন্দির থাকার কারণে মল্লিকপুর, জামিনবেড়িয়া ও পুরসোত্তমপুর এই তিন গ্রামে কোনও বাড়িতে বা বারোয়ারীতে হয় না কালিপুজো। এমন কী কোনও বাড়ির দেওয়ালেও টাঙানো থাকে না বা ক্যালেন্ডারেও আঁকা কালী মূর্তি।

পুরসোত্তমপুর গ্রামে এই ডাকাত কালীর মন্দির থাকার কারণে মল্লিকপুর, জামিনবেড়িয়া ও পুরসোত্তমপুর এই তিন গ্রামে কোনও বাড়িতে বা বারোয়ারীতে হয় না কালিপুজো। এমন কী কোনও বাড়ির দেওয়ালেও টাঙানো থাকে না বা ক্যালেন্ডারেও আঁকা কালী মূর্তি।

5 / 6
মা এতটাই জাগ্রত যে এই প্রতিমার পুজো ছাড়া অন্য কালী প্রতিমার পুজো করতে সাহস পায় না এলাকার মানুষজন। এছাড়াও তিন গ্রামের যে কোনও শুভ কাজ করতে হলে প্রথমেই এই মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়েই শুরু করেন শুভ কাজ।

মা এতটাই জাগ্রত যে এই প্রতিমার পুজো ছাড়া অন্য কালী প্রতিমার পুজো করতে সাহস পায় না এলাকার মানুষজন। এছাড়াও তিন গ্রামের যে কোনও শুভ কাজ করতে হলে প্রথমেই এই মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়েই শুরু করেন শুভ কাজ।

6 / 6