AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Lunar Eclipse Superstitions: ‘বিশ্বাসে নয়, যুক্তিতর্কেই মুক্তি’— চন্দ্রগ্রহণের দিন আবারও প্রমাণ করল পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ

Paschim Banga Vigyan Mancha: রাহু-কেতু আসলে নাকি অসুর স্বরভানুর দুই দেহাংশ। কিন্তু এই ধারণা যে নিছক অমূলক, ভিত্তিহীন এবং কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয় তা বহু বছর আগেই প্রমাণ করে দিয়েছিল বিজ্ঞান। তবু মানুষকে কুসংস্কার থেকে বের করে আনা সহজ কাজ নয়।

| Updated on: Sep 08, 2025 | 2:42 PM
Share
ছোটবেলা থেকেই অনেকে শুনেছেন রাহু-কেতু দুই রাক্ষস। এদের জন্যই হয় সূর্যগ্রহণ-চন্দ্রগ্রহণ। সমুদ্রমন্থনের সময় অমৃত কলষ উঠে এলে তা নিয়ে বিশাল যুদ্ধ বাঁধে দেবতা এবং অসুরের মধ্যে। কিন্তু মধ্যস্থতা করেন বিষ্ণুদেব। মোহিনী রূপে অবতীর্ণ হয়ে তিনি অমৃত ভাগের দায়িত্ব নেন। অমৃত লাভ করতেই নাকি দেবতাদের সারিতে ছদ্মবেশে দাঁড়িয়ে ছিল অসুর স্বরভানু।

ছোটবেলা থেকেই অনেকে শুনেছেন রাহু-কেতু দুই রাক্ষস। এদের জন্যই হয় সূর্যগ্রহণ-চন্দ্রগ্রহণ। সমুদ্রমন্থনের সময় অমৃত কলষ উঠে এলে তা নিয়ে বিশাল যুদ্ধ বাঁধে দেবতা এবং অসুরের মধ্যে। কিন্তু মধ্যস্থতা করেন বিষ্ণুদেব। মোহিনী রূপে অবতীর্ণ হয়ে তিনি অমৃত ভাগের দায়িত্ব নেন। অমৃত লাভ করতেই নাকি দেবতাদের সারিতে ছদ্মবেশে দাঁড়িয়ে ছিল অসুর স্বরভানু।

1 / 6
ছলনার আশ্রয় নিয়ে অমৃত পান করেন। কিন্তু অমৃত পান করার সঙ্গে সঙ্গে তা বুঝতে পারেন বিষ্ণু। তৎক্ষণাৎ সুদর্শন চক্র দিয়ে শিরচ্ছেদ করে দেন তিনি। রাহু-কেতুর জন্ম এভাবে। রাহু-কেতু আসলে নাকি অসুর স্বরভানুর দুই দেহাংশ। কিন্তু এই ধারণা যে নিছক অমূলক, ভিত্তিহীন এবং কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয় তা বহু বছর আগেই প্রমাণ করে দিয়েছিল বিজ্ঞান। তবু মানুষকে কুসংস্কার থেকে বের করে আনা সহজ কাজ নয়। সেই কাজটাই বহু বছর ধরে করে আসছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। যাঁদের মূল কথা হল 'বিশ্বাসে নয়, যুক্তিতর্কে মুক্তি'।

ছলনার আশ্রয় নিয়ে অমৃত পান করেন। কিন্তু অমৃত পান করার সঙ্গে সঙ্গে তা বুঝতে পারেন বিষ্ণু। তৎক্ষণাৎ সুদর্শন চক্র দিয়ে শিরচ্ছেদ করে দেন তিনি। রাহু-কেতুর জন্ম এভাবে। রাহু-কেতু আসলে নাকি অসুর স্বরভানুর দুই দেহাংশ। কিন্তু এই ধারণা যে নিছক অমূলক, ভিত্তিহীন এবং কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয় তা বহু বছর আগেই প্রমাণ করে দিয়েছিল বিজ্ঞান। তবু মানুষকে কুসংস্কার থেকে বের করে আনা সহজ কাজ নয়। সেই কাজটাই বহু বছর ধরে করে আসছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। যাঁদের মূল কথা হল 'বিশ্বাসে নয়, যুক্তিতর্কে মুক্তি'।

2 / 6
চন্দ্রগ্রহণ যে কোনও রাক্ষসের কীর্তি নয়, তা গ্রহের অবস্থানের কারণে ঘটা প্রাকৃতিক একটি বিষয়। আসলে চাঁদের নিজস্ব কোনও আলো নেই। পৃথিবী সূর্য এবং চাঁদের মাঝে এসে চাঁদকে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে দিলে সূর্যের আলো চাঁদের পৌঁছায় না। তখন চাঁদকে দেখা যায় না। এই ঘটনা প্রচলিত চন্দ্রগ্রহণ রূপে। এই বাস্তব সত্যিটাই আবারও মানুষের সামনে তুলে ধরতে, শিশুদের মন থেকে কুসংস্কারের অন্ধকার দূর করতে ৭ তারিখ রাতে এক অভিনব প্রয়াস দেখা গেল শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। যা আদতে বিজ্ঞানের জয় বলা চলে।

চন্দ্রগ্রহণ যে কোনও রাক্ষসের কীর্তি নয়, তা গ্রহের অবস্থানের কারণে ঘটা প্রাকৃতিক একটি বিষয়। আসলে চাঁদের নিজস্ব কোনও আলো নেই। পৃথিবী সূর্য এবং চাঁদের মাঝে এসে চাঁদকে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে দিলে সূর্যের আলো চাঁদের পৌঁছায় না। তখন চাঁদকে দেখা যায় না। এই ঘটনা প্রচলিত চন্দ্রগ্রহণ রূপে। এই বাস্তব সত্যিটাই আবারও মানুষের সামনে তুলে ধরতে, শিশুদের মন থেকে কুসংস্কারের অন্ধকার দূর করতে ৭ তারিখ রাতে এক অভিনব প্রয়াস দেখা গেল শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। যা আদতে বিজ্ঞানের জয় বলা চলে।

3 / 6
পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ বা ব্লাড বা কপার মুন খালি চোখে দেখার জন্য আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ শিবিরের। ৭ই সেপ্টেম্বর ৮.৫৮ মিনিট থেকে যাদবপুর - বাঘাযতীনের  রায়পুর  গার্লস হাইস্কুলের ছাদে আই.পিসে, কাঠ গোলার মাঠ (সিথি সাউথ), কসবা, তিলজলা, পার্কসার্কাস, আনোয়ার শাহ রোড, ঢাকুরিয়া, বেহালা, গোবরাতে করা হয় এই সব শিবির।

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ বা ব্লাড বা কপার মুন খালি চোখে দেখার জন্য আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ শিবিরের। ৭ই সেপ্টেম্বর ৮.৫৮ মিনিট থেকে যাদবপুর - বাঘাযতীনের রায়পুর গার্লস হাইস্কুলের ছাদে আই.পিসে, কাঠ গোলার মাঠ (সিথি সাউথ), কসবা, তিলজলা, পার্কসার্কাস, আনোয়ার শাহ রোড, ঢাকুরিয়া, বেহালা, গোবরাতে করা হয় এই সব শিবির।

4 / 6
কুসংস্কারের বাধানিষেধ ভেঙ্গে শত শত মানুষ চোখ রাখলেন টেলিস্কোপেও। এই সব শিবিরে অংশ নেওয়া সিংহভাগই ছিল ছাত্র-ছাত্রী। এই শিবিররে আয়োজন কোথাও করে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ, কোথাও কলকাতা জেলা এবং স্কুল কতৃপক্ষ, আবার কোথাও বিভিন্ন ক্লাব কতৃপক্ষ। এদিন রায়পুর গার্লস স্কুলের শিবিরে উপস্থিত ছিলেন- পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ কলকাতা জেলা সম্পাদক- শেখ সোলেমান এবং কার্যকরী সভাপতি- সঞ্জয় ঘোষ।

কুসংস্কারের বাধানিষেধ ভেঙ্গে শত শত মানুষ চোখ রাখলেন টেলিস্কোপেও। এই সব শিবিরে অংশ নেওয়া সিংহভাগই ছিল ছাত্র-ছাত্রী। এই শিবিররে আয়োজন কোথাও করে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ, কোথাও কলকাতা জেলা এবং স্কুল কতৃপক্ষ, আবার কোথাও বিভিন্ন ক্লাব কতৃপক্ষ। এদিন রায়পুর গার্লস স্কুলের শিবিরে উপস্থিত ছিলেন- পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ কলকাতা জেলা সম্পাদক- শেখ সোলেমান এবং কার্যকরী সভাপতি- সঞ্জয় ঘোষ।

5 / 6
চন্দ্রগ্রহণের সময় খাবার খাওয়া যাবে না, জল খাওয়া যাবে না, রাহু -কেতুর গ্রাস, স্নান করার নিদান সব কিছুকেই তুড়ি মেরে উড়িয়ে গোটা গ্রহণের সময়কাল জুড়ে চলে চা -বিস্কুট, মুড়িমাখা এমনকি রাতের খাওয়া-দাওয়াও। চন্দ্রগ্রহণে গঙ্গা স্নান করার দরকার নেই, রান্না খাবারে বিষক্রিয়া হয় না, খাবার নষ্ট বা ফেলে দিতে হয় না। এগুলি কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয় তা খাবার খেয়ে প্রমাণ করেন সকলে। সঙ্গে চলে লিফলেটের দিয়ে প্রচার। এই প্রচেষ্টাকে সফল করে তোলার জন্য সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ।

চন্দ্রগ্রহণের সময় খাবার খাওয়া যাবে না, জল খাওয়া যাবে না, রাহু -কেতুর গ্রাস, স্নান করার নিদান সব কিছুকেই তুড়ি মেরে উড়িয়ে গোটা গ্রহণের সময়কাল জুড়ে চলে চা -বিস্কুট, মুড়িমাখা এমনকি রাতের খাওয়া-দাওয়াও। চন্দ্রগ্রহণে গঙ্গা স্নান করার দরকার নেই, রান্না খাবারে বিষক্রিয়া হয় না, খাবার নষ্ট বা ফেলে দিতে হয় না। এগুলি কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয় তা খাবার খেয়ে প্রমাণ করেন সকলে। সঙ্গে চলে লিফলেটের দিয়ে প্রচার। এই প্রচেষ্টাকে সফল করে তোলার জন্য সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ।

6 / 6