১৯২৬ সালে রাজা ষষ্ঠ জর্জ ও রাণী এলিজাবেথের কন্যা তিনি। তাঁর জীবন দেশ ও জনগণের সেবায় নিবেদিত। যদিও বহু বছর ধরে ধৈর্য, অধ্যাবসা তিনি প্রশংসা অর্জন করেছেন। সবচেয়ে আশ্চর্য হল, তিনি এই বয়েসে এসেও একদম ফিট। এর পিছনে রয়েছে আসল রহস্য।
ইংল্যান্ডের রাণী একজন নারী, যাঁর সামনে এখনও কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। ১৯৫৩ সালে রাজ্যাভিষেকের পর, রাজার দায়িত্ব পালন ভূমিকার পাশাপাশি রাজকীয় দায়িত্বের সব পালন করার চেষ্টা করেন। একজন স্ত্রী, মা ও রাণী হিসেবে তিনি ৯৫ বছর বয়সেও নিজের আসনে বিরাজ করছেন।
দৈনন্দিন রুটিনে রাণী তাঁর প্রতিটি কাজ একদম সময়মাফিক কাজ করেন। নির্ধারিত রুটিন মেনে আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। সকাল সাড়ে সাতটায় এক কাপ আর্ল গ্রে পান করার থেকে রাত ১১টায় বই পড়া পর্যন্ত রাণী এলিজাবেথ কঠোর রুটিন মেনে চলেন।
মিটিং, ইভেন্ট ও সামাজিক সমাবেশে যোগদান করলেও দুপুরে পরিবারের সঙ্গে খাবার খান। স্বাস্থ্যকর খাবার ও ব্যস্ততা দুটিই একসঙ্গে ব্যালান্স করে চলতে পারেন।
দুপুরে চা-ও রাণীর রুটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তার মধ্যে থাকে স্যান্ডউইচ। ব্যক্তিগত রুমে রাতের খাবার পরিবেশন করা হয়। সেখানে ডিনারের পর টিভি দেখা, বই পড়তে পারেন। প্রতিদিনের রুটিনে শৃঙ্খলার সঙ্গে মেনে চলেন। আর এটাই দীর্ঘায়ু হওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ।
যদিও রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ব্যায়াম করার সম্ভাবনা কম। তবুও সারাদিনে তিনি যতটা পারেন হেঁটে যাতায়াত করেন। নিয়মিত হাঁটা, ঘোড়ায় চড়া, পছন্দের খেলায় মশগুল থাকতে পছন্দ করেন সেগুলির মাধ্য়মে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করেন।