AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Durga Puja 2025: এ কী কাণ্ড! কলা বউ গণেশের সত্যিকারের বউ নয়?

Durga Puja Saptami: বউ সাজানো কলাগাছকে দুর্গার ছেলে গণেশের পাশে রাখা হয়। এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে লোকবিশ্বাস, কলাবউ নাকি গণেশের স্ত্রী! মণ্ডপে ঢুকেই দর্শনার্থীদের চোখে পড়ে এই বউ-সাজা কলা গাছ।

Durga Puja 2025: এ কী কাণ্ড! কলা বউ গণেশের সত্যিকারের বউ নয়?
কেন পালন করা হয় এই রীতি? Image Credit: Getty Images
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2025 | 11:25 AM
Share

উমা আসছে। পুজোর গন্ধে মাতোয়ারা গোটা বাংলা। হাতে আর ক’টা দিন, তারপরেই সপ্তমী। আর সপ্তমীর ভোর মানেই পুকুরঘাটে ঢাকের তাল, ধূপের ধোঁয়া আর শিউলি ফুলের গন্ধে মেখে থাকা সকাল। কলাগাছকে জলে ডুবিয়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে, মন্ত্রোচ্চারণে সাজানো হয় নবপত্রিকার অন্যতম প্রতীক— কলা-বউ। সাদা-লাল শাড়ি জড়িয়ে, সিঁদুরে রাঙিয়ে সাধারণ গাছটিই হয়ে ওঠে দেবীর আবাহন। দূর থেকে দেখলে মনে হবে এক নববধূ। বউ সাজানো কলাগাছকে দুর্গার ছেলে গণেশের পাশে রাখা হয়। এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে লোকবিশ্বাস, কলাবউ নাকি গণেশের স্ত্রী! মণ্ডপে ঢুকেই দর্শনার্থীদের চোখে পড়ে এই বউ-সাজা কলা গাছ। এক কথায় কলাবউ ছাড়া দুর্গাপুজোর মণ্ডপের ওই চেনা ছবিটা কল্পনাই করা যায় না।

আসলে কী এই কলা বউ? 

জানেন কী পুরাণে গণেশের স্ত্রী হিসাবে কলাবউর উল্লেখ নেই! এটি কেবল বাংলার লোকবিশ্বাসের অংশ। কলাবউ আসলে নবপত্রিকার প্রধান প্রতীক। নবপত্রিকা মানে নয়টি পাতা/গাছ। এর মধ্যে কলা ছাড়াও থাকে কচু গাছ, হলুদ গাছ, জয়ন্তী গাছ, বেলগাছ, ডালিম গাছ, অশোকের ডাল, মান কচু, ধান। এই নয়টি গাছকে এক করে শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বাঁধা হয়। 

কলাবউকে ‘বউ’ বলা হলেও, অনেক পুরোহিত তাঁকে দুর্গারই এক বিশেষ রূপ বলে মানেন। বাংলার কৃষিজীবনে নতুন ধান, সবুজ প্রকৃতি, ফসলের আশা— সবকিছুকে এই রীতিতে দেবীর শক্তি হিসেবে পূজা করা হয়। সবই দেবীর কৃপা বলে মনে করা হয়। তাই কলাবউ শুধু কোনও দেবতার বউ নন, কলাবউ হয়ে ওঠেন উর্বরতা, নবজীবন আর প্রকৃতিরই রূপ।

তাহলে গণেশের পাশে কেন রাখা হয় তাকে? 

এ নিয়েও নানা মত আছে। পুজোর সূচনায় গণেশের উপস্থিতি অবধারিত। তিনি নতুন শুরুর দেবতা। আর নবপত্রিকা হল কৃষি ও শস্যের দেবী। এই দুই দেবতাকে পাশাপাশি স্থাপন করার মাধ্যমে বোঝানো হয় যে, জীবনের যে কোনও নতুন যাত্রায় বা নতুন ফসল ফলানোর সময় যেন কোনও বাধা না আসে। দিনের শেষে সব কিছু যেন সফল ও সমৃদ্ধ হয়। এটি কোনও দাম্পত্য সম্পর্ক নয়, বরং এমন একটি প্রতীকী বন্ধন, যা প্রকৃতির আশীর্বাদ এবং জীবনের সাফল্যের বার্তা বহন করে। সর্বস্তরে সাফল্য কামনা করেই করা হয় এই পুজো। কিন্তু ওই যে শাড়ি-সিঁদুরে সজ্জিত বধূর মতো কলাবউ দেখে সাধারণ মানুষের কল্পনায় তাঁর সঙ্গে গণেশের দাম্পত্য সম্পর্ক গড়ে ওঠে। লোকবিশ্বাসের সেই সহজ সরল ব্যাখ্যাই তাই আজ এত জনপ্রিয় হয়ে রয়ে গিয়েছে।