প্রেম-প্রকৃতি-দান ঘিরেই ঈশ্বরের গোটা সাম্রাজ্য!
যিনি সবার অন্নদাতা তিনিই তাদের তত্ত্ববধান করেন। যেহেতু ঈশ্বর সকলের সবকিছু সরবরাহ করেন, তাই অজগর সাপ যেমন কোন কাজ করে না তেমনই পাখিও কোন পরিশ্রম করে না।
যিশু বলেছেন, প্রয়োজনীয় পার্থিব বস্ত্ত তোমাকে যোগানো হবে, তার জন্যে দুশ্চিন্তা কোর না। তোমার হৃদয়ের গভীর তলদেশে অবগাহন কর, কারণ ঈশ্বরের গোটা সাম্রাজ্যটাই তোমার অন্তরের গভীরে। আমাদের জীবনের যা কিছু অগ্রাধিকার রয়েছে- সেই তালিকায় ঈশ্বরের স্থান সর্বনিম্নে। আমরা সারাদিনে সব কাজ সম্পন্ন করার পরই হয়তো প্রার্থনা বা ধ্যানের জন্যে একটু সময় বার করে নিই। আমরা ঈশ্বরকে যতটা সময় দিই তার ফলাফলও তেমনি পাই।যেদিন আমাদের কোন পার্টিতে যাওয়ার প্রোগ্রাম নেই, কারুর বাড়িতে যাবার সামাজিক কর্তব্য পালনের তাগাদা নেই, কারুর সঙ্গে ঘুরে বেড়াবার ইচ্ছা নেই, তখন যদি খানিকটা সময় বার করতে পারি, তখন একটু ধ্যান, প্রার্থনা বা কোন আধ্যাত্মিক অনুশীলন করতে চেষ্টা করি।
প্রেম সর্বদাই নিরাকার। প্রেম একই সঙ্গে মূর্ত এবং বিমূর্ত৷ এর নিজস্ব কোন নাম বা আকার নেই কিন্ত্ত সকল নাম ও সকল আকারের মধ্য দিয়ে তা প্রকাশিত। … সৃষ্টির প্রতিটি আকৃতিতে রয়েছে প্রেম আর প্রতিটি নামই এখানে ভালোবাসার প্রতিনিধিত্ব করছে।… প্রেম সর্বত্রই রয়েছে কিন্ত্ত কোন কোন জায়গাতে তার পূর্ণ প্রকাশ ঘটে। তোমার আত্মজ্ঞানই তোমাকে প্রেমের প্রস্ফুটনের দিকে নিয়ে চলে। প্রেম তোমার দৃষ্টিতে সব ক্ষুদ্র জন্ত্তর থেকে দূরে নিয়ে চলে।
যিশু বলেছেন, কখনো খাদ্য ও জামাকাপড়ের সংস্থানের মতো ক্ষুদ্র বিষয়গুলো নিয়ে দুশ্চিন্তা না করতে, কারণ পাখিরাও তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সংগ্রহ করেই ফেলে। ভারতবর্ষে প্রাচীন প্রচলিত কথায় বলা হয়েছে যে পাখিরা তাদের নিয়মিত কাজের বাইরে অন্য কোন কাজ করে না। বৃহদাকার সাপেরাও আগামীকালের জন্যে কোনো ভাবেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় না, কিন্ত্ত তাদের জীবনে জীবনবিমার নিরাপদ আশ্রয়ও নেই, কিন্ত্ত যা তাদের প্রয়োজন তা তারা পেয়েই যায়। যিনি সবার অন্নদাতা তিনিই তাদের তত্ত্ববধান করেন।যেহেতু ঈশ্বর সকলের সবকিছু সরবরাহ করেন, তাই অজগর সাপ যেমন কোন কাজ করে না তেমনই পাখিও কোন পরিশ্রম করে না।প্রতিটি ব্যক্তি ও বস্ত্তর তত্ত্বাবধান হয়ে চলেছে। আমাদের জীবনের দিকে তাকিয়ে দেখ, আমরা পার্থিব বস্ত্তর পেছনে কতটা সময় ব্যয় করি, এসবকে কতটা গুরুত্ব দিই আমরা!
আরও পড়ুন: দক্ষিণেশ্বর মন্দির গড়তে সেই সময় কত টাকা খরচ হয়েছিল, জানেন?
তথ্য সৌজন্য, শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর