Diwali 2023: দিওয়ালি শেষ, লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি নিয়ে কী করবেন?
Lakshmi-Ganesh Idol: পুজো শেষে অনেকে জলে বিসর্জন দেন, আবার অনেকে ঠাকুরঘরেই রেখে দেন, নিয়মিত পুজো করে থাকেন। একবছর পর সেই মূর্তি বা ছবি সরিয়ে ফের একবার নতুন মূর্তি কিনে পুজো করে থাকেন। কিন্তু দিওয়ালির পর মূর্তিগুলি কোথায় রাখা উচিত, তা না জেনেই রেখে দেওয়া হয়। যা পরবর্তীকালে বড় ক্ষতি পারে।
আবার সেই আগামী বছরের অপেক্ষা। আলো, আতসবাজির রোশনাইয়ের দাপটেরও তেজ কমেছে। কারণ আলোর উত্সবের রেশ না থাকলেও পুজোর ঘরে রয়েছে লক্ষ্মী ও গণেশের মূর্তি বা ছবি। হিন্দু রীতি অনুযায়ী, দিওয়ালির দিন সৌভাগ্যে ও ঐশ্বর্য বৃদ্ধির জন্য অধিকাংশ গণেশ ও লক্ষ্মীর পুজো করে থাকেন। এই কারণেই লক্ষ্মী ও গণেশের নতুন মূর্তি বা ছবি কিনে আচার-রীতি মেনে পুজো করা হয়ে থাকে। পুজো শেষে অনেকে জলে বিসর্জন দেন, আবার অনেকে ঠাকুরঘরেই রেখে দেন, নিয়মিত পুজো করে থাকেন। একবছর পর সেই মূর্তি বা ছবি সরিয়ে ফের একবার নতুন মূর্তি কিনে পুজো করে থাকেন। কিন্তু দিওয়ালির পর মূর্তিগুলি কোথায় রাখা উচিত, তা না জেনেই রেখে দেওয়া হয়। যা পরবর্তীকালে বড় ক্ষতি পারে। এই কারণেই লক্ষ্মী ঘরে ছেড়ে বেড়িয়ে যেতে পারেন। তাতে আর্থিক সমস্যাতেও পড়তে পারেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, দিওয়ালির পর লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি নিয়ে কী করবেন?
দীপাবলির পরে গণেশ-লক্ষ্মী মূর্তির প্রতিকার
ঠাকপরঘরে স্থাপন করুন: জ্যোতিষীর মতে, গণেশ ও লক্ষ্মীর নতুন মূর্তি চৌকো কাঠের বেদীর উপর পরিষ্কার ও নতুন কাপড় বিছিয়ে পুজো করা উচিত। পুরনো মূর্তিগুলি ঠাকুরঘরে রেখে দিন। ভাইফোঁটার পরে, কাঠের বেদী থেকে নতুন মূর্তিগুলি সরিয়ে দিন। এরপরে, পুরনো মূর্তির দিকে মুখ করে ভক্তিভরে প্রার্থনা করুন।এখপর ফুল, বাতাশা, মিষ্টি নিবেদন করে পুরনো প্রতিমার পুজো করুন। আরতি করে নতুন মূর্তি স্থাপন করুন ও ঠাকপরঘর থেকে পুরনো মূর্তিগুলি সরিয়ে রাখুন।
নদীতে নিরঞ্জন: দীপাবলিতে পুজোর পরে,লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তিও নদীতে বিসর্জন করতে পারেন। যে কোনও ধাতব মূর্তি ছাড়া মাটির তৈরি লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি লাল কাপড়ে মুড়িয়ে নদীতে বিসর্জন দেওয়া উচিত। যদি কাছে নদী না থাকে, তাহলে বাড়িতে একটি বিশুদ্ধ পাত্রে জল ভরে প্রতিমা গলিয়ে নিরঞ্জন পর্ব সারতে পারেন। তাতে কোনও ভুল কিছু হবে না। জীবনে আসবে অঢেল সুযোগ-সুবিধা। তবে মনে রাখবেন, প্রতিমা এখানে-সেখানে রাখবেন না বা নোংরা জলে বা নোংরা জায়গায় ফেলবেন না।
সোনা ও রুপোর মূর্তি রাখুন নিরাপদে: দীপাবলিতে পুজোর জন্য লক্ষ্মী-গণেশের রূপো, সোনা বা পিতলের মূর্তি স্থাপন করেন। সেই মূর্তিগুলি বাড়ির মধ্যে নিরাপদে রাখতে পারেন। তবে নিরাপদে রাখার জন্য আগে গঙ্গাজল দিয়ে প্রতিমাকে স্নান করাতে হবে। তারপর ঠাকুরঘরে বা আপনার নিরাপদ স্থানে রাখতে পারেন। মনে রাখবেন এই রীতি মেনে চলার সময় বিশেষ আচার মেনেই আরতি করা উচিত। তাতে পুজো করার সুফল পেতে পারেন। দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে পারেন আপনি।
মাথায় রাখুন এই আচার: দীপাবলির পুজোর পর অনেকেই গাছের নীচে লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি রেখে দেন। এই কাজ কখনও করবেন না। মনে করা হয়, গাছের নীচে লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি রাখলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। দেবী লক্ষ্মী ঘর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন।
কখন বিসর্জন করবেন: জ্যোতিষীদের মতে, এবছর দীপাবলি ছিল ১২ নভেম্বর, রবিবার। একই সময়ে, সোমবতী অমাবস্যাও পালিত হয়েছে ১৩ নভেম্বর, সোমবার। পর পর দুটি দিনই শুভ। এ দিনে লক্ষ্মী-গণেশের পুরনো মূর্তি বিসর্জন করা খুবই কার্যকরী। যদি কোনও কারণে এদিন প্রতিমা বিসর্জন করতে না পারেন, তাহলে ১৫ নভেম্বর বিসর্জন করতে পারেন। কারণ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার, এ দিনে বিসর্জন নিষিদ্ধ। সূর্যাস্তের পর ভুল করেও নিরঞ্জন পর্ব সারবেন না। কারণ দেবীলক্ষ্মী প্রদোষ কাল ও গোধূলির সময় খুব পছন্দ করে থাকেন।