Devi Kushmanda: একাধারে সৃষ্টি-সংহারের প্রতীক! চতুর্থীতে পূজিত অষ্টভূজা দেবী কুষ্মাণ্ডা আসলে কে?
Durga Puja 2025: কথিত তাঁর জ্যোতির্ময়ী হাসি থেকে সৃষ্টি হয়েছিল সংসারের। তিনি দেবী কুষ্মাণ্ডা। প্রতিপদ থেকে শুরু করে নবরাত্রি অবধি যে ৯ রূপে পূজিত হন দেবী, তাঁর মধ্যে অন্যতম দেবী কুষ্মাণ্ডা। চতুর্থীতে পূজিত হন দেবী। কেন তাঁর এই অদ্ভুত নাম? কী তাঁর মাহাত্ম্য? জানুন সবটা।

সিংহের উপর অধিষ্ঠাত্রী তিনি, অষ্টভুজা। তিনি দেবী আদিশক্তির আদিস্বরূপ। গৌরবর্ণা দেবীর অঙ্গে অঙ্গে তাই সূর্যের মতো ছটা। কথিত তাঁর জ্যোতির্ময়ী হাসি থেকে সৃষ্টি হয়েছিল সংসারের। তিনি দেবী কুষ্মাণ্ডা। প্রতিপদ থেকে শুরু করে নবরাত্রি অবধি যে ৯ রূপে পূজিত হন দেবী, তাঁর মধ্যে অন্যতম দেবী কুষ্মাণ্ডা। চতুর্থীতে পূজিত হন দেবী। কেন তাঁর এই অদ্ভুত নাম? কী তাঁর মাহাত্ম্য? জানুন সবটা।
বিশ্বাস জগজ্জনীর পূর্ণ প্রকাশ রয়েছে দেবী কুষ্মাণ্ডার মধ্যে। মাতৃরূপের পূর্ণ প্রকাশ তিনি। ব্রহ্মাণ্ডের জননী। দেবী কুষ্মাণ্ডার ‘কু’ শব্দের অর্থ কম। ‘উষ্মা’ মানে উষ্ণতা। দেবীর আট হাতে অস্ত্র ছাড়াও আছে জপমালা। একহাত আছে অভয়মুদ্রায়। দেবী হাতে দুই পাত্রে একটিতে আছে অমৃত, একটিতে রক্ত। অর্থাৎ একই সঙ্গে সৃষ্টি এবং সংহারের প্রতীক তিনি। কথিত দেবী কূষ্মাণ্ডাই সূর্যের শক্তির উৎস। তিনি স্বয়ং সৌরশক্তি হিসেবে বিরাজ করেন সূর্যদেবের ভিতরে। অর্থাৎ এই ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টির মূলে বিরাজ করেন দেবী কুষ্মাণ্ডা-ই। তাঁর আট হাতে আছে কমণ্ডলু, ধনুক, তীর, পদ্ম-ফুল, অমৃত এবং রক্তে-ভরা কলস, চক্র, গদা এবং জপমালা। দেবীর বাহন সিংহ ধর্মের প্রতীক। মতান্তরে তিনি ব্যাঘ্রবাহিনী।
বিশ্বাস, সূর্যের মতোই তিনিও তাঁর ভক্তদের অন্তরে আলো প্রদান করেন। আলোকিত করে তোলেন তাঁদের জীবন। মা কুষ্মাণ্ডার উপাসনা করলে সুখ, সৌভাগ্য, সম্পদ এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। রোগভোগ এবং দুঃখ দুর্দশা থেকে মেলে মুক্তি। বিশেষ করে ছাত্রদের জন্য বিশেষ উপকারী দেবীর আরাধনা। বিশ্বাস,এতে বুদ্ধি এবং একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। মা কুষ্মাণ্ডা যোগ ও ধ্যানেরও দেবী, ভক্তদের শান্তি ও ভারসাম্য প্রদান করেন।
কীভাবে আরাধনা করবেন দেবী কুষ্মাণ্ডার?
ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করুন, গঙ্গা জল দিয়ে পূজার স্থান পবিত্র করুন এবং দেবী কুষ্মাণ্ডার একটি মূর্তি বা ছবি স্থাপন করুন। দেবীকে ফল, ফুল, কুমকুম, হলুদ, চালের দানা এবং বিশেষ করে কুমড়ো বা সাদা কুমড়ো নিবেদন করুন। একটি প্রদীপ জ্বালান, আরতি করুন এবং দুর্গা চালিশা বা দুর্গা সপ্তশতী পাঠ করুন
প্রথমে কলস এবং তার মধ্যে উপস্থিত দেবতার পুজো করুন। তারপর অন্যান্য দেবতাদের পুজো করা উচিত। তাঁদের পুজো করার পর, দেবী কুষ্মাণ্ডার পুজো শুরু করুন। মালপোয়া বড় পছন্দের দেবীর, তাই এই দিন অবশ্যই দেবীকে মালপোয়া নিবেদন করুন।
