AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Holi 2022: দোলে ভাঙ ব্যবহারের পিছনে রয়েছে মহাদেবের যোগ! জানুন ভাঙ খাওয়ার তাৎপর্য

Bhang: দোলে এই ভাঙ কেন ব্যবহার করা হয় জানেন? শুধুই কি রঙের উৎসবে আরেকটু আনন্দ যোগ করার জন্য? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? চলুন জেনে নেওয়া যাক...

Holi 2022: দোলে ভাঙ ব্যবহারের পিছনে রয়েছে মহাদেবের যোগ! জানুন ভাঙ খাওয়ার তাৎপর্য
দোলে এই ভাঙ কেন ব্যবহার করা হয় জানেন?Image Credit: istockphoto.com
| Edited By: | Updated on: Mar 15, 2022 | 2:17 PM
Share

রঙিন দিনে (Holi 2022) রঙিন স্বপ্ন দেখার ইচ্ছা কেউই হাতছাড়া করতে চায় না। বছরের এই একটি দিন ভাঙ (Bhang) বা পানীয়তে গলা ভেজানো কোনও অপরাধ বলে মনে করা হয় না। সঙ্গে তো রঙ খেলার (Colours of Festival) দুরন্ত উত্তেজনা আছেই। মজাদার ও প্রচুর খাওয়া দাওয়ার পর দিনের শেষে এক গ্লাস ভাঙ মেশানো দুধের ঘোলে (Thandai) সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।

ভারতের বিভিন্ন জায়গা এই ভাঙ নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। ডাক্তারি পরিভাষায় ভাঙের নাম, ডিকার্বোক্সিলেটেড মারিজুয়ানা।  ভারতে হোলির উত্‍সব মানেই ভাঙ মেশানো ঠান্ডাই থাকবেই। তাই বিভিন্ন উপায়ে পরিবেশন করা হলেও তা সকলে বেশ উপভোগ করেন। হাজার হাজার বছর ধরে খাবার ও পানীয়তে ভাঙ মেশানোর রীতি রয়েছে আমাদের দেশে। গাঁজার পাতা, ফুল ও কুঁড়ি শুকিয়ে তৈরি হওয়া ভাঙ দোলেরই বিশেষ আকর্ষণ। দোলের সময় বিশেষ করে ঠান্ডাই বা পকোড়ায় মিশিয়ে খাওয়া হয় ভাঙ। কিন্তু দোলে এই ভাঙ কেন ব্যবহার করা হয় জানেন? শুধুই কি রঙের উৎসবে আরেকটু আনন্দ যোগ করার জন্য? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? চলুন জেনে নেওয়া যাক…

ভাঙ ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে মূলত গাঁজার পাতা, ফুল ও কুঁড়ি শুকিয়ে তৈরি করা হয়। প্রাচীন গ্রন্থ অর্থবেদে ভাঙকে একটি উপকারী ভেষজ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়াও ধর্মগ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে সারা দেশে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয় ভাঙ। ঐতিহ্যগতভাবে মহাশিবরাত্রির দিন এবং হোলির দিন ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয় বাং।

ঐতিহাসিক ধর্মগ্রন্থগুলি সারা দেশে বিভিন্ন রূপে ভাং এর ব্যাপক ব্যবহার বলে। ভাং ঐতিহ্যগতভাবে মহা শিবরাত্রি এবং হোলির বসন্ত উত্সবের সময় বিতরণ করা হয়। গ্রামীণ ভারতের কিছু অঞ্চলে, বহু মানুষ গাঁজা গাছকে তার বিভিন্ন ঔষধি বৈশিষ্ট্যের জন্য ব্যবহার করে। এটি জ্বর, আমাশয় এবং সানস্ট্রোক, কফ পরিষ্কার করে, হজমে সহায়তা করে, খিদে বাড়ায় এবং একাধিক রোগ নিরাময় করে বলে বিবেচনা করা হয়।

হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, গাঁজা গাছ ভগবান শিবের সঙ্গে সম্পর্কিত। কথিত রয়েছে যে একবার শিব তাঁর পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া করার পরে মাঠে ছুটে গিয়েছিলেন। ক্লান্ত এবং হতাশ হয়ে, তিনি একটি উদ্ভিদের নীচে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। যখন তিনি জেগে ওঠেন, তখন তাঁর কৌতুহল তাঁকে গাছের পাতা খেতে উৎসুক করে তোলে। তাৎক্ষণিকভাবে পুনরুজ্জীবিত হয়ে, শিব সেই গাছটিকে তাঁর প্রিয় খাবারে পরিণত করেছিলেন এবং পরে তিনি ভাঙের দেবতা হিসাবে পরিচিত হন। ভাঙ হোলির উৎসবের সঙ্গে যুক্ত। এর কারণ এটি মানুষকে আনন্দের উৎসবে মেতে উঠতে সাহায্য করে। নিজের আত্মার সঙ্গে যোগস্থাপনের সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: ‘আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া, কাল আমাদের দোল…’ ন্যাড়া পোড়া কী?

আরও পড়ুন: দোলের দিন এই বাস্তু প্রতিকারগুলি মেনে চলুন! দূর হবে অর্থ সমস্যাও