Aryna Sabalenka: হতে পারতেন হকি খেলোয়াড়, জিতলেন গ্র্যান্ড স্লাম

Australian Open: আরিয়ানার বাবা সের্গেই ছিলেন হকি খেলোয়াড়। হয়তো সাবালেঙ্কাও হকির দিকেই ঝুঁকতে পারতেন। যদিও বাবার সঙ্গে গাড়িতে কিছুটা সফর, তাঁর পথ বদলে দিল। সাবালেঙ্কাই শুনিয়েছিলেন তাঁর টেনিস খেলোয়াড় হয়ে ওঠার সেই কাহিনি।

Aryna Sabalenka: হতে পারতেন হকি খেলোয়াড়, জিতলেন গ্র্যান্ড স্লাম
Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2023 | 8:30 AM

মেলবোর্ন : কেরিয়ারে প্রথম বার গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে উঠেছিলেন। আর প্রথম বারই ট্রফি জিতে কোর্ট ছাড়লেন। আরিয়ানা সাবালেঙ্কা যেন নতুন রূপকথা। এখনই তাঁকে নিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা করা বৃথা। মেয়েদের টেনিসের ধারাটাই যে এমন! একটা-দুটো গ্র্যান্ড স্লাম জিতে অনেকেই হারিয়ে যান। তবে নেতিবাচক বিষয় না ভেবে বরং সাবালেঙ্কার উত্থানে নজর দেওয়া যাক। প্রথম বার কোনও গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠলেও এই মঞ্চ তাঁর কাছে নতুন নয়। এর আগে তিন বার গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনালে উঠেছেন। সেখানেই ইতি হয়েছে তাঁর দৌড়। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ঘুরল কেরিয়ারের মোড়। গল্পটা অন্যরকমও হতে পারতো আরিয়ানা সাবালেঙ্কার। কিন্তু হল এমনই। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।

আরিয়ানার বাবা সের্গেই ছিলেন হকি খেলোয়াড়। হয়তো সাবালেঙ্কাও হকির দিকেই ঝুঁকতে পারতেন। যদিও বাবার সঙ্গে গাড়িতে কিছুটা সফর, তাঁর পথ বদলে দিল। সাবালেঙ্কাই শুনিয়েছিলেন তাঁর টেনিস খেলোয়াড় হয়ে ওঠার সেই কাহিনি। সাবালেঙ্কার কথায়, ‘বাবার সঙ্গে গাড়িতে কোথাও একটা যাচ্ছিলাম। চলার পথে বাবার নজরে পড়ে একটি টেনিস কোর্ট। তারপর আমাকে সেখানে নিয়ে যায়। আমারও খেলাটা বেশ পছন্দ হয়েছিল। অজান্তেই ভালোবেসে ফেলি। এ ভাবেই টেনিসে হাতেখড়ি।’ ২০১৪ সালে বেলারুশের রাজধানী মিনসকে জাতীয় টেনিস অ্যাকাডেমিতে শেখার শুরু। পরের বছর থেকেই জুনিয়র স্তরে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলতে শুরু করেন সাবালেঙ্কা। আর এখন তাঁর নামের পাশেও গ্র্যান্ড স্লাম বিজেতার তকমা।

মেলবোর্ন পার্কে মহিলাদের সিঙ্গলসের ফাইনালে এলিনা রিবাকিনার বিরুদ্ধে পিছিয়ে ছিলেন। পরবর্তী দুটি সেট জিতে চ্যাম্পিয়ন। অন কোর্ট সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি প্রচণ্ড নার্ভাস। এলিনাকেও ধন্য়বাদ। আশা করছি আমাদের আবার দেখা হবে। কোনও না কোনও গ্র্য়ান্ড স্লামের ফাইনালেই।’ আরও যোগ করলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট দারুণ উপভোগ করলাম। দুর্দান্ত পরিবেশ। আমার টিমকে ধন্য়বাদ। অনেক ওঠা-নামা হয়েছে কেরিয়ারে। এই ট্রফিটা আমার চেয়ে, টিমের কাছে বেশি গর্বের। আশা করি, আগামী বছর আবার এখানে আসব। আরও ভালো টেনিস উপহার দেব সকলকে।’