প্রায় এক দশক। সময়টা নেহাৎ কম নয়। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি হাতছাড়া। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্লিন সুইপ। চূড়ান্ত হতাশা থেকে মুক্তি দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্ট। পারথে প্রথম ম্যাচে ছিলেন না রোহিত শর্মা। ক্যাপ্টেন্সি করেন জসপ্রীত বুমরা। তেমনই বল হাতেও অনবদ্য পারফরম্যান্স। জয় দিয়েই সিরিজ শুরু করেছিল ভারত। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই হতাশার শুরু। সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে উঠতেও হিমসিম খেয়েছে ভারত। তবে একজন ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করে গিয়েছেন। জসপ্রীত বুমরা।
সিডনি টেস্ট জিততে চতুর্থ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ১৬২ রান। জসপ্রীত বুমরা থাকলে? তখন মাত্র লেখা যেত না। দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের পর মাঠ ছেড়েছিলেন। পিঠে চোট রয়েছে তাঁর। দ্রুত স্ক্যানের জন্য যান। দ্বিতীয় দিন আর নামেননি। তৃতীয় দিন ব্যাটিং করেছিলেন। বোলিংয়ে বুমরাকে পাওয়া যায়নি। যার ভরপুর সুযোগ তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রসিধ কৃষ্ণ তিন উইকেট নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা দিলেও লাভ হয়নি। মাত্র ২৭ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছয় অস্ট্রেলিয়া।
এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে খেলতে না পারা। বুমরা থাকলে পরিস্থিতি হয়তো অন্য হতেই পারতো! ম্যাচ শেষে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে জসপ্রীত বুমরা বলেন, ‘খুবই হতাশার। কিন্তু শরীরকে সম্মান দিতেই হবে। চোট নিয়ে লড়াই করা যায় না। সম্ভবত কেরিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটগুলো মিস করলাম। প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় স্পেলেই সমস্যা হচ্ছিল। সে কারণেই চিকিৎসকের কাছে ছুটতে হয়।’
ভারত-অস্ট্রেলিয়া এই সিরিজে ৩২ উইকেট নিয়েছেন জসপ্রীত বুমরা। তাঁকে সামলাতে হিমসিম খেয়েছে অজি ব্যাটাররা। সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতলেও আক্ষেপটা রয়েই গেল। সিডনিতে জিতলে ক্যাপ্টেন হিসেবে সিরিজে জোড়া জয়ের তৃপ্তি পেতেন। অন্তত সিরিজ ড্র করে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি ধরে রাখতে পারত ভারত।