Lata Mangeshkar: ভারতের ক্রিকেট ম্যাচের সময় নির্জলা উপোস করতেন লতা

গানের জগতের বাইরে যদি আর কোনও দুনিয়া থেকে থাকে লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar), তা ছিল ক্রিকেট (Cricket)। ভারতীয় ক্রিকেট টিমের গুণমুগ্ধ ভক্ত ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, এতটাই ক্রিকেট অনুরাগ ছিল যে, মাঠে খেলাও দেখতে যেতেন। আর না যেতে পারলে খবর ঠিক রাখতেন লতা।

Lata Mangeshkar: ভারতের ক্রিকেট ম্যাচের সময় নির্জলা উপোস করতেন লতা
Lata Mangeshkar: ভারতের ক্রিকেট ম্যাচের সময় নির্জলা উপোস করতেন লতা (Pic Courtesy - The Bharat Army Twitter)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 06, 2022 | 5:14 PM

নয়াদিল্লি: গানের জগতের বাইরে যদি আর কোনও দুনিয়া থেকে থাকে লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar), তা ছিল ক্রিকেট (Cricket)। ভারতীয় ক্রিকেট টিমের গুণমুগ্ধ ভক্ত ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, এতটাই ক্রিকেট অনুরাগ ছিল যে, মাঠে খেলাও দেখতে যেতেন। আর না যেতে পারলে খবর ঠিক রাখতেন লতা। তাঁকে কাছ থেকে চিনতেন যাঁরা, তাঁরাও জানেন, সাধারণ ভক্তের মতো কোনও বিশেষ ক্রিকেট ম্যাচের আগে উপোস করতেন। ভারত ম্যাচ জিতলে তবেই খেতেন। ৯২ বছরে লতার প্রয়াণের পর সেই সব পুরনো গল্পই ফিরে আসছে।

২০১১ সালে দেশের মাঠে ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিল। পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির টিম। ওই উত্তেজক ম্যাচ নিয়ে রোমাঞ্চিত ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, মোহালির ওই ম্যাচের আগে তিনি কার্যত নির্জলা উপোস করেছিলেন। মোহালির ওই ম্যাচে ভারতকে ২৯ রানে জিততে দেখে তবেই উপোস ভেঙেছিলেন সুরের রানি। সে সময় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লতা বলেওছিলেন, ‘আমার পরিবারের সবাই একই রকম সংস্কার নিয়ে ভারতের খেলা দেখে। আমি, মীনা, উষা ম্যাচের আগে ও ম্যাচের সময় কিছু খাই না। এমনকি জলপানও করি না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত যাতে জেতে, তার জন্য প্রার্থনা করছিলাম।’

২০১১ সালের বিশ্বকাপে মাঠে যাননি লতা। তবে ১৯৮৩ সালের ফাইনাল দেখার জন্য পাগল হয়ে উঠেছিলেন লতা। সেই সময় তিনি লন্ডনেই ছিলেন। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারানোর ভারতীয় টিমের ফাইনাল দেখার জন্য মরিয়া হয়েও মাঠে যাওয়া হয়নি লতার। তবে ফাইনালের আগের দিন ভারতীয় টিমকে তাঁর হোটেলে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পুরনো ইন্টারভিউয়ে লতা বলেওছেন, ‘কপিল দেব আর ওর টিমকে ফাইনালের আগে আমি আমার হোটেলে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ওদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম, যাতে ইতিহাস তৈরি করতে পারে। ট্রফি জেতার পর কপিল আবার আমাকে ওদের হোটেলে নিমন্ত্রণ করে।

সচিন তেন্ডুলকর তাঁর কাছে ছিলেন ছেলের মতো। সচিনও তাঁকে ‘আই’ বলে ডাকতেন। মারাঠি শব্দের বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় মা। লতার তা নিয়ে গর্বের শেষ ছিল না। ‘সচিন আমাকে মায়ের মতো দেখে। আমিও ওর জন্য মায়ের মতো প্রার্থনা করেছি। ও যে দিন আমাকে প্রথম আই বলে ডেকেছিল, সেই দিনটা এখনও ভুলতে পারিনি। সচিন নিজের কাজের প্রতি ভীষণ একনিষ্ঠ। ভীষণ একগুঁয়ে। আমিও তাই। ও যেমন গান ভালোবাসে, আমিও তেমন ক্রিকেট ভালোবাসি।’

কিছু কথা ফিরে ফিরে আসে। অতীতের সে সব শব্দ ঝাপসা হতে পারে, মলিন নয়।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar: সোশ্যাল মিডিয়ায় লতার শ্রদ্ধায় বিরাট-সেওয়াগরা

আরও পড়ুন: লতার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সচিন, আজ তিনি কার্যত ‘মাতৃহারা’