কমফোর্ট জোন। কিছুদিন আগে এ নিয়েই আলোচনা হচ্ছিল ভারতীয় শিবিরে। একটা সময় ওয়ান ডে ফরম্যাটে ভারতের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বর পজিশন। কেউই সেটল হতে পারছিলেন না। টেস্ট ক্রিকেটে এমনই একটা গুরুত্বপূর্ণ পজিশন তিন নম্বর। গত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর টিম থেকে বাদ পড়েছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বরে কে, এই নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যশস্বী জয়সওয়ালের অভিষেকের পর তিন নম্বরে ব্যাটিং শুরু করেন শুভমন গিল। প্রাক্তন কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাও বলেছিলেন, শুভমন নিজেই তিন নম্বরে ব্যাট করতে চেয়েছিলেন। বেঙ্গালুরু টেস্টে শেষ মুহূর্তে ছিটকে যান শুভমন। আর এতেই ব্যাটিং অর্ডারে ‘ফাটকা’। কী বলছেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা?
টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং অর্ডারে বিরাট কোহলির কমফোর্ট জোন চার নম্বর। শুভমন গিল না থাকায় ব্যাটিং অর্ডারে তিনে পাঠানো হয় টিমের সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলিকে। এই ফাটকাই যেন বড় ঝটকা। তিন নম্বর এমনই একটা পজিশন, যেখানে স্পেশালিস্ট প্রয়োজন। যিনি নতুন বলও খেলতে পারবেন। চেতেশ্বর পূজারা দীর্ঘ সময় এই পজিশন আগলে রেখেছিলেন। যেখানে বল খেলার পাশাপাশি ছাড়াটাও জরুরি। বিরাট কোহলি শেষ বার টেস্টে তিনে ব্যাট করেছিলেন ২০১৬ সালে। দীর্ঘ আট বছর পর ব্যাটিং অর্ডারে জায়গা বদল, শূন্য রানেই ফেরেন বিরাট।
বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টির কারণে গত তিন দিন কার্যত পুরো সময়ই ঢাকা ছিল পিচ। সেখানে পেসাররা সাহায্য পাবেন, এমনই প্রত্যাশিত। বাউন্সেও অস্বস্তি দেখালো। টেস্টে ওপেনিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে টিমের আর এক প্লেয়ার লোকেশ রাহুলের। বিদেশের মাটিতেও ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে ব্যাট করেছেন। লোকেশ রাহুলকে কি তিনে পাঠানো যেত না? দিনের খেলা শেষে তার জবাব দিলেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা।
বিরাটকে ‘কমফোর্ট’ জোন থেকে তিনে নামানো প্রসঙ্গে রোহিত শর্মা বলেন, ‘লোকেশ রাহুল ৬ নম্বরে ভালো খেলছিল। দীর্ঘ সময় পর ও ছন্দ ফিরে পেয়েছে। টিমের অভিজ্ঞ প্লেয়ারদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। বিরাট সেই দায়িত্ব নিয়েছে। ঋষভ, রাহুলের ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন করতে চাইনি। এটা তো ভালো দিক, যে প্লেয়াররা নিজে থেকে দায়িত্ব নিচ্ছে।’ সুইং আটকাতে পপিং ক্রিজের বাইরে স্টান্স নিচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু শর্টপিচ ডেলিভারিতে পরাস্ত হন। শেষ অবধি মাত্র ৪৬ রানেই অলআউট ভারত। সে কারণেই ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে আরও বেশি প্রশ্ন উঠছে।