RR vs GT, Hardik Pandya : হার্দিকও মানলেন, ঋদ্ধিই সেরা; বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে কেন আসবেন না?
Rajasthan Royals vs Gujarat Titans Post Match : টি-টোয়েন্টি কি শুধুই তরুণদের খেলা? মহেন্দ্র সিং ধোনি হোক কিংবা ঋদ্ধিমান সাহা, তাঁদের দেখে অন্তত এমনটা বলা যাবে না। ঋদ্ধি যেমন উইকেটের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন, তেমনই ব্য়াট হাতেও বিধ্বংসী শুরু দিচ্ছেন। তাঁর রানিং বিটউইন দ্য় উইকেটও অনবদ্য। বোর্ড কি এবার টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপের জন্য ভাববে ঋদ্ধিমানের কথা?

দীপঙ্কর ঘোষাল : ফুটবলে যেমন গোলরক্ষক, ক্রিকেটে তেমনই উইকেট কিপার। একটা ভুল হলে তাঁকে নিয়ে সমালোচনার লোকের অভাব নেই। কিন্তু দিনের পর দিন ভালো পারফর্ম করে গেলেও প্রশংসা জোটে সামান্যই। হ্য়াঁ, প্রশংসা আসে, যদি উইকেটের সামনে ভালো পারফর্ম করতে পারেন। ঋদ্ধিমান সাহা এ বারের আইপিএলে সেটাও করেছেন। কোনও অর্ধশতরানের ইনিংস নেই। তবে অধিনায়ক যা দায়িত্ব দিয়েছেন, পালন করে আসছেন ঋদ্ধিমান। প্রায় প্রতি ম্য়াচেই দলকে একটা ভালো শুরু দিয়ে আসছেন। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস। গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া অবশ্য কিপার ঋদ্ধির সবচেয়ে বড় ফ্যান। ম্য়াচ শেষে ঋদ্ধি প্রসঙ্গ আসতেই অভিব্যক্তি বদলে গেল। ঠিক কী ভাবে কৃতজ্ঞতা জানাবেন, সেটাই যেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আইপিএল শেষেই বিশ্ব টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপ ফাইনাল। গুরুতর চোটে নেই ঋষভ পন্থ। স্কোয়াডে উইকেট কিপার হিসেবে রয়েছে তরুণ শ্রীকার ভরত। কিপিংয়ে বিকল্প ছিলেন লোকেশ রাহুলও। তাঁকে দিয়েই হয়তো কিপিং করানো হত। এখন সেই পরিকল্পনাও ধাক্কা খেয়েছে। রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ফাফ ডুপ্লেসির ড্রাইভ তাড়া করেছিলেন রাহুল। বাউন্ডারি আটকাতে পারেননি। উল্টে গুরুতর চোট লাগে তাঁর। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। এ বারের আইপিএল থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। শুক্রবার লোকেশ রাহুল নিজেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঘোষণা করেন, বিশ্ব টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপে খেলতে পারবেন না। এ বার কি ঋদ্ধিমান সাহাকে ফেরানো নিয়ে ভাবা যেতে পারে? সিদ্ধান্ত বোর্ডের। তবে টি-টোয়েন্টি ক্য়াপ্টেনের ঋদ্ধি-বন্দনার পর বোর্ড ভাবতে বাধ্য হবে।
রাজস্থানকে বিশাল ব্য়বধানে হারিয়ে হার্দিক বলেন, ‘আমি কিপার ঋদ্ধির বড় ফ্যান। বরাবর ওর ওপর ভরসা করে আসছি। আমার কেরিয়ারে যাঁদের সঙ্গে খেলেছি, সেরা কিপার ঋদ্ধিমান সাহাই।’ এরপর আরও চকচক করে উঠল হার্দিকের চোখ। অবাক ভঙ্গিতে বললেন, ‘রশিদ খান এবং নুর আহমেদ যা বোলিং করে, এই দুজনের বিরুদ্ধে কিপিং করা খুবই কঠিন। ঋদ্ধিকে দেখে মনে হয় খুবই সহজ কাজ। ঋদ্ধি যে ভাবে দলে ভূমিকা রাখে সেটা হয়তো সবার নজরে পড়ে না। বলতে গেলে, উইকেট কিপিংটা থ্যাঙ্কলেস জব।’
টি-টোয়েন্টি কি শুধুই তরুণদের খেলা? মহেন্দ্র সিং ধোনি হোক কিংবা ঋদ্ধিমান সাহা, তাঁদের দেখে অন্তত এমনটা বলা যাবে না। ঋদ্ধি যেমন উইকেটের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন, তেমনই ব্য়াট হাতেও বিধ্বংসী শুরু দিচ্ছেন। তাঁর রানিং বিটউইন দ্য় উইকেটও অনবদ্য। বোর্ড কি এবার টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপের জন্য ভাববে ঋদ্ধিমানের কথা?





