Adam Zampa: ২০০৬ সালের 438 vs 434-র ম্যাচ মনে পড়ে? লজ্জার রেকর্ড ছুঁলেন জাম্পা

South Africa vs Australia: প্রথমে ২০০৬ সালের সেই ম্যাচ নিয়ে বলা যাক। রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া তখন অপ্রতিরোধ্য। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার টস জিতে ব্যাটিং নেন রিকি পন্টিং। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, সাইমন কাটিচের হাফসেঞ্চুরি। অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের ১০৫ বলে ১৬৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। মাইকেল হাসি ৫১ বলে ৮১। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৩৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া। সাত বোলার ব্য়বহার করেও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং দাপট থামাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।

Adam Zampa: ২০০৬ সালের 438 vs 434-র ম্যাচ মনে পড়ে? লজ্জার রেকর্ড ছুঁলেন জাম্পা
Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2023 | 6:45 AM

সেঞ্চুরিয়ন: সালটা ২০০৬। ১২ মার্চ, জোহানেসবার্গ। বিশ্ব ক্রিকেট এক মহাকাব্যিক ম্যাচের সাক্ষী থেকেছিল। সে সময় ওয়ান ডে ক্রিকেটে ২৫০ প্লাস স্কোর মানেই যেন জয় নিশ্চিত। কালে-ভদ্রে ৩০০-র ওপর রান দেখা যেত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলি এক পেশে ম্যাচ হত। জোহানেসবার্গের সেই ম্যাচ সে কারণেই মহাকাব্যিক। পুরুষদের ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এখনও অবধি সর্বাধিক রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড তৈরি হয়েছিল সেই ম্যাচেই। দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়ার সেই ম্যাচ অমর ইতিহাস হয়ে রয়েছে। সেই ম্যাচেরই এক রেকর্ডে ভাগ বসালেন অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। দুই দলই এক, ফলও এক। শুধু প্রেক্ষাপট আলাদা। সে বার রান তাড়া করা দল জিতেছিল, এ বার প্রথমে ব্যাট করা দল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

প্রথমে ২০০৬ সালের সেই ম্যাচ নিয়ে বলা যাক। রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া তখন অপ্রতিরোধ্য। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাটিং নেন রিকি পন্টিং। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, সাইমন কাটিচের হাফসেঞ্চুরি। অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের ১০৫ বলে ১৬৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। মাইকেল হাসি ৫১ বলে ৮১। সব মিলিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৩৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া। সাত বোলার ব্যবহার করেও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং দাপট থামাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।

বোর্ডে ৪৩৫ রানের টার্গেট। বর্তমানে কোনও টার্গেটই সুরক্ষিত নয়। অন্তত কাছাকাছি যেতেই পারে। কিন্তু ওই সময় এ সবই ছিল কল্পনা। প্রোটিয়া সমর্থকদের বেশির ভাগ অংশ ধরেই নিয়েছিল ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। তার ওপর ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনিং জুটি ভাঙে প্রোটিয়াদের। ঠিক তখনই অবিশ্বাস্য কান্ড। অধিনায়ক গ্রেম স্মিথের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন হার্সেল গিবস। হারানোর কিছু নেই। প্রাপ্তির সুযোগ অনেক। স্মিথ এবং গিবস যেন এই লক্ষ্যেই ব্যাটিং শুরু করেন। দলীয় ১৯০ রানে আউট স্মিথ। ৫৫ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। হার্সেল গিবস ১১১ বলে ১৭৫ রান! ১ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস জয় দক্ষিণ আফ্রিকার। ৪৩ বলে অপরাজিত হাফসেঞ্চুরি মার্ক বাউচারের। সেই ম্যাচে লজ্জার রেকর্ড গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়াম পেসার মাইক লুইস। ১০ ওভারে দিয়েছিলেন ১১৩ রান! পুরুষদের ওডিআই ক্রিকেটে এটি রেকর্ড। যে রেকর্ডে ভাগ বসালেন অজি লেগ স্পিনার।

ফেরা যাক সেঞ্চুরিয়নে। দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া। টস জিতে ফিল্ডিং নেন অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৪১৬ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮৩ বলে ১৭৪ রান ক্লাসেনের। বল হাতে সেঞ্চুরিই শুধু নয়, মাইক লুইসের সেই রেকর্ডও ছুঁলেন অ্যাডাম জাম্পা। ১০ ওভারে অ্যাডাম জাম্পাও দেন ১১৩ রান! ৮টি বাউন্ডারি এবং ৯টি ওভার বাউন্ডারি এসেছে তাঁর বোলিংয়ে। মাইক লুইসের মতো তাঁর ঝুলিও উইকেট শূন্য! যুগ্মভাবে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার লজ্জার রেকর্ড জাম্পার। তাঁদের পরই রয়েছেন পাকিস্তানের বাঁ হাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০ ওভারে ১১০ রান দিয়েছিলেন পাক পেসার।