কলকাতা: মাত্র ১৩ বছর বয়স তাঁর। রাজস্থান রয়্যালস তাঁকে আইপিএলের মেগা নিলামে (IPL Mega Auction) রাতারাতি কোটিপতি বানিয়েছে। আর কোটিপতি হয়েই কি মাথা ঘুরে গিয়েছে বৈভব সূর্যবংশীর (Vaibhav Suryavanshi)? দিনকয়েক আগে এটাই বলাবলি হচ্ছিল ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। কারণ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতের হয়ে প্রথম ২টো ম্যাচে রান পাননি তিনি। পাকিস্তান ম্যাচে ১ রানে আউট হয়েছিলেন। এরপর জাপানের বিরুদ্ধে অবশ্য ২৩ রান করেছিলেন। কিন্তু সমালোচনা শুরু হয়েছিল তাঁকে নিয়ে। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ান বৈভব। ৭৬ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দেন। সেই সুবাদে ভারত ওঠে যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে। আর শেষ চারের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দেখা গেল বৈভবের ব্যাটে ম্যাজিক।
শারজায় টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাটিং করে ১৭৩ রানে অলআউট লঙ্কানরা। টিমের হয়ে সর্বাধিক রান লকভিনের (৬৯)। ১৭৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাহত্রে ও বৈভব সূর্যবংশী ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৯১ রান। নবম ওভারে আয়ুষ (৩৪) আউট হন। এরপর বৈভব জুটি বাঁধেন সিদ্ধার্থের সঙ্গে। ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন বৈভব। তিনি যে ছন্দে ছিলেন, তাতে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতেন। কিন্তু ১৪তম ওভারে বৈভবকে ফেরান মানিষা। ৩৬ বলে ৬৭ রানের ইনিংস উপহার দেন বৈভব। তাতে মেরেছেন ৬টি চার ও ৫টি ছয়। ২১.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে টার্গেট পূরণ করে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন বৈভব।
যুব এশিয়া কাপের অপর সেমিফাইনালে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিল। ওই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে পাকিস্তান ১১৬ রানে অলআউট হয়েছিল। বাংলাদেশ ১৬৭ বল বাকি থাকতেই টার্গেট পূরণ করে ফেলে। ২২.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ১২০ রান। এবং ভারতের পর অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট হিসেবে ট্রফির শেষ লড়াইয়ে উঠেছে।