Arc Vector: ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত বিশ্বের সবথেকে উন্নত ইলেকট্রিক বাইক, আর্ক ভেক্টর সম্পর্কে সব তথ্য জেনে নিন
ব্রিটেনের ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারী সংস্থা আর্ক ভেহিকলের এক্কেবারে লেটেস্ট বৈদ্যুতিক বাইক, যা চালকদের হাতে খুব শীঘ্রই পৌঁছে যাবে। সংস্থার তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এটিই বিশ্বের সবথেকে উন্নত ইলেকট্রিক বাইক।
ভবিষ্যৎে কনসেপ্ট ইলেকট্রিক বাইক যে কতটা তাক লাগাতে পারে, তার আঁচ মিলতে পারে এখনই। বাইক আসবে, যাবে। কিন্তু বেসিক জিনিসটা তো একই থেকে যাবে। সম্প্রতি একটি ইলেকট্রিক বাইক যেন সেই আইডিয়াটা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। ডেলিভারির জন্যও তৈরি হিয়ে গিয়েছে সেই বিদ্যুচ্চালিত মোটরবাইকটি। নাম আর্ক ভেক্টর (Arc Vector)। ব্রিটেনের ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারী সংস্থা আর্ক ভেহিকলের এক্কেবারে লেটেস্ট বৈদ্যুতিক বাইক, যা চালকদের হাতে খুব শীঘ্রই পৌঁছে যাবে। সংস্থার তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এটিই বিশ্বের সবথেকে উন্নত ইলেকট্রিক বাইক (World’s Most Advanced Electric Bike)। জনপ্রিয় ব্রিটিশ ব্র্যান্ডের এই হাইপার নেকেড ইলেকট্রিক বাইক (Hyper Naked Electric Bike) সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। আসলে এটি একটি আপডেটেড ভার্সন। ২০১৮ সালেই এই আলট্রা-প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলটি বিশ্ববাসীর সামনে নিয়ে এসেছিল আর্ক ভেহিকল। সে সময় এই দু’চাকা গাড়িটির দাম ছিল ৯০,০০০ জিবিপি বা ভারতীয় মূল্যে ৯১ লাখ টাকার কাছাকাছি।
ব্যস! সেই শুরু, সেই শেষ। ২০১৯ সালে যখন এই বাইকটির প্রোডাকশন শুরু হওয়ার কথা, তখনই নেমে আসে বড়সড় একটা সমস্যা। তার ঠিক চার মাস পরে অক্টোবরে দেউলিয়া হওয়ার জন্য ফাইল করতে হয়েছিল আর্ক ভেহিকলকে। আর তার কারণ ছিল সংস্থার দায়ভার বর্তেছিল কিছু অসৎ বিনিয়োগকারীর উপরে। কিন্তু সেই দুঃসময় কাটিয়ে ২০২০ সালের অক্টোবরে আর্ক ভেহিকলের প্রতিষ্ঠাতা, সিইও এবং প্রধান ডিজাইনার মার্ক ট্রুমান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে সংস্থাটি কিনে নেন।
২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি – কামব্যাক, এমনকি ডেলিভারির জন্যও তৈরি আর্ক ভেক্টর ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল। ডেলিভারির ঘোষণা করার সময় মার্ক ট্রুমান বলেন, “বেশ কিছু অর্ডার আমরা এর মধ্যেই পেয়ে গিয়েছি এবং গ্রাহকরা সেন্ট্রাল ইংল্যান্ডে আমাদের কমিশনিং স্যুটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, যাতে প্রতিটি মোটরসাইকেল আমরা আলাদা ভাবে যত্ন সহকারে তৈরি করতে পারি এবং সেগুলির সবই যাতে অনন্য হতে পারে।”
এই হাইপার নেকেড লাক্সারি ইলেকট্রিক বাইকে ভেক্টর হল, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, কারুকাজ ও আধুনিক ডিজাইনের নিখুঁত সমন্বয় এবং এটি বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত সম্পূর্ণ ভাবে একটি ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল। আর্ক ভেক্টরের কার্বন-ফাইবার মনোকোক একটি কাঠামোগত সদস্য হওয়ার জন্য ব্যাটারি কেসকে একত্রিত করে এবং একটি ভবিষ্যত ক্যাফে রেসারের চেহারা উপস্থাপন করে। উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে, ফ্রন্ট-এন্ড জিওমেট্রি, কার্বন ফাইবার সুইংগ্রামস, কাস্ট ওহলিনস এবং ব্রেম্বো স্টাইলেমা ব্রেক সিস্টেম।
এই উদ্ভাবনী ইলেকট্রিক বাইকের পাওয়ারিং হল, একটি ৯৫ কিলোওয়াট (১২৭ এইচপি) বৈদ্যুতিক মোটর, যা বাইকটিকে মাত্র ৩.২ সেকেন্ডের ০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা স্প্রিন্ট সময় ছাড়াও ইলেকট্রনিক ভাবে সীমিত ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার সর্বোচ্চ গতিতে পৌঁছতে সক্ষম করে। টেকনোলজি জায়ান্ট স্যামসাংয়ের ১৬.৮ কেডব্লুএইচ ব্যাটারি প্যাক শহুরে রাইডিংয়ের জন্য বাইকটিকে ৩২২ কিমি (২০০ মাইল) বা হাইওয়েতে ২০০ কিমি (১২০ মাইল) পর্যন্ত রেঞ্জ প্রদান করতে পারে। যদিও এগুলি কাগজে আনুমানিক পরিসরের সংখ্যা। আর্ক ভেহিকেলস-এর তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে যে, থার্ড পার্টি কিছু সংস্থার রিপোর্ট করেছে যে, এই বাইকের প্রকৃত রেঞ্জ ৫৮২ কিমি (৩৬২ মাইল)-এর বেশি। এছাড়াও রয়েছে ডিসি ফাস্ট চার্জিং, যার মাধ্যমে মাত্র ৪৫ মিনিটেই সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাবে বাইকটি।
হেড আপ ডিসপ্লের জন্য এই বাইকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা বেস্পোক আর্ক জ়েনিথ হেলমেট। হেলমেটের ট্যাকোমিটারের দিকে তাকিয়েই চালকরা বাইকের সমস্ত জরুরি তথ্য দেখে নিতে পারবেন। পাশাপাশি আবার এই বাইকের সঙ্গে একটি আর্মোর্ড আন্ডারশার্ট এবং বিল্ট-ইন হ্যাপটিক প্রতিক্রিয়া-সহ জ্যাকেটের সঙ্গে অফার করা হবে। এর সাহায্যে চালক তার সামনে যা দেখতে পাচ্ছেন না, সেখানে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তাঁকে আপডেট করা হবে।
আরও পড়ুন: ওলা এস১-এর প্রোডাকশন বন্ধ হল, যাঁরা বুক করেছেন তাঁদের কী হবে?
আরও পড়ুন: সেলেরিও সিএনজি মডেল নিয়ে এল মারুতি সুজ়ুকি, দাম ৬.৫৮ লাখ টাকা
আরও পড়ুন: ভারতে বৈদ্যুতিক ভ্যান তৈরির জন্য ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পেল ইভেজ