AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সামনেই ভোট, রাজনৈতিক দলের Facebook প্রচারে AI-কে বাগে আনতে কড়া ডোজ় Meta-র

Political Campaign: মেটা যে জায়গাটায় সবথেকে বেশি ভয় পাচ্ছে, তা হল রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার। সেই কারণে 2024 সালের প্রথম থেকেই বিজ্ঞাপনদাতাদের জানাতে হবে যে, তারা কোনও রাজনৈতিক (পলিটিক্যাল) বা সামাজিক (সোশ্যাল) বিষয় নিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করার সময় AI বা অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে কি না।

সামনেই ভোট, রাজনৈতিক দলের Facebook প্রচারে AI-কে বাগে আনতে কড়া ডোজ় Meta-র
প্রচার যেন অপপ্রচার না হয়ে যায়!
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2023 | 5:19 PM
Share

2024 সালটা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে অনেক দেশের জন্যই। তার কারণ এই বছরে বিশ্বের বেশ কিছু বড় দেশের নির্বাচন। সেই তালিকায় যেমন ভারত আছে, তেমনই আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকোর মতো দেশও রয়েছে। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া এখন অন্যতম বড় অস্ত্র। কিন্তু নির্বাচনকে মাথায় রেখে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মালিক সংস্থা Meta তাদের পলিসিতে জরুরি কিছু পরিবর্তন করেছে।

একটি ব্লগ পোস্টে মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ বলছেন, “অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন যেহেতু আসছে, আমরা ঠিক করেছি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নীতি এবং সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলি আপডেট করা হবে এবং 2024 সালে তা প্রযোজ্য হবে।” তিনি আরও বলছেন, “নাইজিরিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক এবং আর্জেন্টিনায় সাম্প্রতিকতম বড় নির্বাচন এবং সামনের বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য ও আঞ্চলিক নির্বাচনগুলি চলাকালীন আমাদের প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার বন্ধ করতে চাইছি।”

Meta ঠিক কী পরিকল্পনা করছে

মেটা যে জায়গাটায় সবথেকে বেশি ভয় পাচ্ছে, তা হল রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার। সেই কারণে 2024 সালের প্রথম থেকেই বিজ্ঞাপনদাতাদের জানাতে হবে যে, তারা কোনও রাজনৈতিক (পলিটিক্যাল) বা সামাজিক (সোশ্যাল) বিষয় নিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করার সময় AI বা অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে কি না। এটি তখনই প্রযোজ্য হবে, যখন বিজ্ঞাপনটিতে একটি ফটোরিয়ালিস্টিক ইমেজ বা ভিডিয়ো বা বাস্তবসম্মত সাউন্ডিং অডিয়ো থাকে। বিজ্ঞাপনদাতাকে পরিষ্কার করে দিতে হবে, সেই ছবি, ভিডিয়ো বা অডিয়ো সত্যিকারের। AI-এর কারসাজিতে কনটেন্টে কোনও কারিকুরি করা হয়নি, তা-ও প্রমাণ করতে হবে বিজ্ঞাপনদাতাকে।

শুধু তাই-ই নয়। এটি তখনও প্রযোজ্য হবে, যখন কোনও বিজ্ঞাপনে একটি বাস্তববাদী-সুদর্শন ব্যক্তিকে দেখানো হবে, বাস্তবে যাঁর কোনও অস্তিত্ব নেই। এমন কোনও ঘটনার ক্ষেত্রেও বিষয়টি কার্যকর হবে, যা পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে, অথচ তার অস্তিত্ব নেই। ব্লগ পোস্টে ক্লেগ বলছেন, বাস্তব কোনও ঘটনার ফুটেজ বদলে দিলে চলবে না, যা সাধারণত AI-এর সাহায্যে করা হয়। সেই কারণেই বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তুর কোনও অংশ তৈরি করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হয়েছে কি না, তা সব রাজনৈতিক দলকে বিজ্ঞাপনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।