Dinosaur Eggs: ডাইনোসরের ডিমে নাকি জল ঢুকত না! কেমন সাইজ হত ডিমের? জেনে নিন অজানা ইতিহাস
Dinosaur Egg Fossils: দৈত্যাকার ডাইনোসরদের জীবাশ্ম (ফসিলস) পাওয়া গেলেই নতুন করে গবেষণা শুরু করেন তাঁরা। মধ্যপ্রদেশে 'বাঘ ধার' গ্রামে বাঘনী নদীর তীরে তিনটি জায়গা থেকে ডাইনোসরের ডিমের 25টি ফসিল বা জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে।
Dinosaur Eggs Size: ‘জুরাসিক পার্ক’-এর সেই দিনগুলো আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব কি না তা নিয়ে কখনই বিশেষ কিছু জানান না বিজ্ঞানীরা। তবে সেই সব দৈত্যাকার ডাইনোসরদের জীবাশ্ম (ফসিলস) পাওয়া গেলেই নতুন করে গবেষণা শুরু করেন তাঁরা। মধ্যপ্রদেশে ‘বাঘ ধার’ গ্রামে বাঘনী নদীর তীরে তিনটি জায়গা থেকে ডাইনোসরের ডিমের 25টি ফসিল বা জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ডাইনোসরের ডিমের এই জীবাশ্ম প্রায় 650 কোটি বছরের পুরনো। আপাতত এই জীবাশ্মগুলি লখনউ এবং চণ্ডীগড়ের গবেষণা কেন্দ্রে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর আগেও ডাইনোসরের ডিমের জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে। তাই এই বাগানে ডাইনোসর ফসিল পার্ক তৈরি করেছে বন বিভাগ। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, এগুলি মাংসাশী ডাইনোসরের ডিম হতে পারে। কিন্তু, আপনি কি জানেন ডাইনোসরের ডিম দেখতে কেমন এবং সেগুলো ঠিক কত বড়? কোথায়ই বা প্রথম ডাইনোসরের ডিম খুঁজে পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা?
ডাইনোসরের ডিম দেখতে কেমন?
ডাইনোসরের ডিম অনেক আকারের হয়, 1 ইঞ্চি থেকে 8 ইঞ্চি চওড়া এবং দৈর্ঘ্যে 2 ফুট পর্যন্ত। 1859 সালে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো ডাইনোসরের ডিম আবিষ্কার করেছিলেন। বিজ্ঞানীদের মতে, ডাইনোসররা প্রায় 165 মিলিয়ন বছর ধরে পৃথিবীতে ছিল। এই সময়ে তাদের আকারে অনেক বৈচিত্র্য হয়। ডাইনোসরের সেই সব বৈচিত্র্যের বিভিন্ন পর্যায় আছে, যা ট্রায়াসিক, জুরাসিক এবং ক্রিটেসিয়াস নামে পরিচিত। ডাইনোসরের ডিমের আকার-গঠন অনেকটা পাখি আর কুমিরের ডিমের মতো। তবে ডাইনোসরের ডিমের খোসা পাখি ও অন্যান্য সরীসৃপের ডিমের চেয়ে শক্ত। তাদের বাইরের খোলটি জলরোধী।
কোন ডাইনোসরের ডিমের খোসা নরম?
বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন যে, প্রোটোসেরাটপ জাতীয় কিছু ডাইনোসর নরম খোসাযুক্ত ডিম পাড়ত। এই ডিম সহজে জীবাশ্ম হবে না। জীবাশ্মবিদরা প্রায়ই ভিতরে ভ্রূণ সহ ডিম খুঁজে পান না। তাই কোন ডাইনোসর কোন ডিম দিয়েছে, তা নির্ধারণ করা তাঁদের কাছে চ্যালেঞ্জিং।
ডাইনোসরের ডিম খুঁজে পাওয়া সহজ নয়:
1923 সালে জীবাশ্মবিদরা মঙ্গোলিয়ার জ্বলন্ত পাথরে ডাইনোসরের বেশ অনেকগুলি ডিম আবিষ্কার করেছিলেন। বিজ্ঞানী রয় চ্যাপম্যান অ্যান্ড্রুজ, জর্জ ওলসেন এবং তাদের দল সেই ডিমগুলি আবিষ্কার করেন। 1990 এর দশকে ওই একই জায়গায় আরও অনেক ডাইনোসরের ডিমের দেখা পান বিজ্ঞানীরা। তারপরে তারা সেই জায়গা নিয়ে গবেষণা চালান। আর সেই গবেষণায় দেখতে পান, মঙ্গোলিয়ায় সবচেয়ে বেশি ডাইনোসর বসবাস করত। ডাইনোসর ডিম খুঁজে বের করা মোটেই সহজ কাজ ছিল না।