পৃথিবীর কোথায় কত কার্বন জমে আছে? NISAR স্যাটেলাইট দিয়ে খুঁজবে ইসরো-নাসা
Earth Observation Satellite Nisar: মহাকাশে জায়গা দখলের তালিকায় এগিয়ে ভারত ও আমেরিকা। আর তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল 'নিসার (NISAR)' স্যাটেলাইট। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা অর্থাৎ ISRO, আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসার সহযোগিতায় নিসার স্যাটেলাইট তৈরি করেছে।
মহাকাশে জায়গা দখলের তালিকায় এগিয়ে ভারত ও আমেরিকা। আর তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল ‘নিসার (NISAR)’ স্যাটেলাইট। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা অর্থাৎ ISRO, আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসার সহযোগিতায় নিসার স্যাটেলাইট তৈরি করেছে। এটি 2024 সালের প্রথমার্ধে চালু হওয়ার কথা। কিন্তু কী এই NISAR স্যাটেলাইট? এর উদ্দেশ্য কী? জেনে নিন সমস্ত প্রশ্নের উত্তর।
NISAR স্যাটেলাইটের পুরো নাম…
নাসা ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার। এটি একটি আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট, অর্থাৎ পৃথিবীকে বিশ্লেষণ করার জন্য এটিকে উৎক্ষেপণ করা হবে। পৃথিবীতে থাকা বিভিন্ন বন, জঙ্গল, জলাভূমির বাস্তুতন্ত্র নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে।
কিন্তু কেন বাস্তুতন্ত্র নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রয়োজন?
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি অনুসারে, বন এবং জলাভূমিগুলি প্রাকৃতিকভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস তৈরি করে। আর তা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমন পরিস্থিতিতে, ইসরো এবং নাসা পৃথিবীর সমস্ত বন এবং জলাভূমিগুলিকে নিয়ে পরীক্ষা করতে চায়।
উৎক্ষেপণের পর কীভাবে কাজ করবে NISAR?
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, উৎক্ষেপণের পর এই স্যাটেলাইটটি প্রথম তার কক্ষপথে পৌঁছে যাবে। তারপর এটি প্রতি 12 দিনে পৃথিবীর ভূমি এবং বরফের পৃষ্ঠ স্ক্যান করবে। স্যাটেলাইট যে ডেটা সংগ্রহ করবে তা থেকে বিজ্ঞানীরা কার্বনের নির্গমন এবং শোষণ বুঝতে পারবেন। এভাবেই চলতে থাকবে স্যাটালাইটের কাজ। NASA JPL-এর মতে, জঙ্গলে গাছের কাঠে এবং জলাভূমির মাটিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বন জমা হয়। আর তাতে যদি কোনও রকম ব্যাঘাত ঘটে তাহলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড বা মিথেনের মতো গ্যাস বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে পড়তে পারে। নিসার স্যাটেলাইটের সাহায্যে বিজ্ঞানীরা কার্বনের অবস্থা বুঝতে পারবেন।