Geomagnetic Storm: সূর্য থেকে প্রবল শক্তিশালী-উত্তপ্ত বিচ্ছুরণ, জিওম্যাগনেটিক ঝড় আঘাত করতে পারে পৃথিবীপৃষ্ঠে
স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার জানিয়েছে যে, সূর্যের X1 flare- রয়েছে রিজিয়ন ২৮৮৭। সেখান থেকে আসছে এই Coronal Mass Ejection (CME)।

শক্তিশালী জিওম্যাগনেটিক ঝড় আছড়ে পড়বে পৃথিবীতে। নাসা জানিয়েছে, সূর্য থেকে তীব্র মাত্রায় তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিচ্ছুরিত হচ্ছে। এই রশ্মিই পৃথিবীপৃষ্ঠকে আঘাত করতে। আর তার ফলে সৃষ্টি হতে পারে Northern Lights বা অরোরা বোরিয়ালিস। ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NOAA)- এর অন্তর্ভুক্ত স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে যে, একটি জিওম্যাগনেটিক ঝড় পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে ৩০ অক্টোবর। কারণ বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সূর্য থেকে একটি Coronal Mass Ejection (CME) হচ্ছে। এর প্রভাবেই এই জিওম্যাগনেটিক ঝড় হতে পারে। জানা গিয়েছেম এই CME সূর্য-পৃথিবী বিভাজন অতিক্রম করতে ২ দিনের বেশি সময় নেবে। আর সেও প্রক্রিয়া চলাকালীন ৩০ অক্টোবর আঘাত করতে পারে সূর্যের এই CME। ৩১ অক্টোবরও এর কিছুটা প্রভাব দেখা যেতে পারে।
স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার আরও জানিয়েছে যে, সূর্যের X1 flare- রয়েছে রিজিয়ন ২৮৮৭। সেখান থেকে আসছে এই Coronal Mass Ejection (CME)। আর এর ফলেই পৃথিবীকে আঘাত করতে পারে একটি জি৩ (স্ট্রং) জিওম্যাগনেটিক স্টর্ম। এর পাশাপাশি এজেন্সি এও জানিয়েছে যে, একটি জি২ (মডারেট) অর্থাৎ মাঝারি তীব্রতার ঝড়ের প্রভাব ৩১ অক্টোবরও দেখা যাবে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে নতুন সোলার সাইকেল চলছে সূর্যে। আর তার ফলেই ওই আগুনের গোলা পৃথিবীর দিকে বিপজ্জনক শিখাগুলোকে পাঠাতে পারে। তার ফলে অতি শক্তিশালি জিওম্যাগনেটিক ঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীপৃষ্ঠে। সম্প্রতি সূর্যের এক্স১ ক্লাস ফ্লেয়ার থেকে যে Coronal Mass Ejection (CME) হয়েছে তা ধরা পড়েছে Solar Dynamics Observatory- তে। নাসার তরফেও বলা হয়েছে এই শক্তিশালী সৌর ঝড় আসলে একটি X1-class flare।
জানা গিয়েছে, সূর্যের এই X-class flares আসলে অত্যন্ত গভীর অঞ্চল হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ এই অঞ্চল থেকে বিচ্ছুরণের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি এবং যা বিচ্ছুরিত হবে তা বেশ শক্তিশালী। অন্যদিকে, মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা জানিয়েছে, X2 flares বাস্তবে X1- এর তুলনায় দ্বিগুণ গভীর, শক্তিশালী এবং তীব্র অঞ্চল। এর পাশাপাশি X3 flares বাকি দুই ফ্লেয়ারের তুলনায় তিনগুণ এবশি ইনটেন্স বা তীব্র এবং গভীর। X10 পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের ফ্লেয়ার রয়েছে। সংখ্যার সঙ্গে বৃদ্ধি পায় তীব্রতাও। spaceweather.com সম্প্রতি জানিয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর মহাকাশে একটি coronal mass ejection (CME) লঞ্চ হয়েছে। সানস্পট AR2887 বিস্ফোরণের ফলে এই CME হয়েছে। আর তা সরাসরি এগোচ্ছে পৃথিবীর দিকে। প্রতি সেকেন্ডে এর গতি ১২৬০ কিলোমিটারেরও বেশি। সূর্যের সবচেয়ে বাইরের অংশ যা করোনা নামে পরিচিত সেখানকার করোনাগ্রাফ পর্যবেক্ষণ করে coronal mass ejection (CME)- এর এই গতি জানা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন- Baby Planet Discovery: মহাকাশে আবিষ্কার করা হল ‘শিশু গ্রহ’-এর, আকারে আয়তনে বৃহস্পতির চেয়েও বড়…





