Sunrise on Mars: মঙ্গলগ্রহে সূর্যোদয়, বিস্ময়কর ছবি প্রকাশ নাসার ইনসাইট ল্যান্ডারের

Sunrise on Mars: মঙ্গলগ্রহে একবছর মানে ৬৮৭ দিন। ইতিমধ্যেই সেই সময়সীমা লালগ্রহে পার করেছে নাসার ইনসাইট ল্যান্ডার। তাই প্রাথমিক অভিযান শেষ হয়েছে এই ল্যান্ডারের।

Sunrise on Mars: মঙ্গলগ্রহে সূর্যোদয়, বিস্ময়কর ছবি প্রকাশ নাসার ইনসাইট ল্যান্ডারের
মঙ্গলগ্রহে সূর্যোদয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 16, 2022 | 6:47 PM

নাসার ইনসাইট মার্স ল্যান্ডার (NASA Insight Mars Lander) সম্প্রতি এক দারুণ মুহূর্ত লেন্সবন্দি করেছে। বিস্ময়কর এই ছবিতে মঙ্গলগ্রহ থেকে সূর্যোদয় (Sunrise on Mars) দেখা গিয়েছে। পৃথিবীবাসীরা তো সূর্যোদয় আগেই দেখেছেন। তবে মঙ্গলগ্রহ থেকে সূর্যোদয় কেমন লাগে, সেটাই এবার দেখা গিয়েছে। ইনসাইট হল নাসার প্রথম অভিযান যার মাধ্যমে মঙ্গলগ্রহের ইন্টিরিয়র অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ অংশ কেমন— লালগ্রহের ক্রাস্ট, ম্যান্টেল এবং কোর ও গভীরতা সম্পর্কে জানার জন্যই শুরু হয়েছিল এই এই ইনসাইট অভিযান। ২০১৮ সাল থেকে নাসার ইনসাইট ল্যান্ডার রয়েছে মঙ্গলগ্রহে। সেখানকার কম্পনের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করে এই ল্যান্ডার। মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে এবং অভ্যন্তরে কম্পনের তীব্রতা পরিমাপ করে এই ইনসাইট ল্যান্ডার। মঙ্গলগ্রহের Elysium Planitia এলাকায় ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে অবতরণ করেছিল নাসার এই ইনসাইট মার্স ল্যান্ডার।

মঙ্গলগ্রহে একবছর মানে ৬৮৭ দিন। ইতিমধ্যেই সেই সময়সীমা লালগ্রহে পার করেছে নাসার ইনসাইট ল্যান্ডার। তাই প্রাথমিক অভিযান শেষ হয়েছে এই ল্যান্ডারের। তবে আপাতত তার হাতে বেশ কিছুটা অবসর সময় রয়েছে। আর সেই সময়কেই কাজে লাগিয়ে এইসব মনোমুগ্ধকর ছবি তুলছে ইনসাইট ল্যান্ডার। মূলত নিজের ফটোগ্রাফি স্কিল পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে নাসার ইনসাইট ল্যান্ডার। মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা জানিয়েছে ইনসাইট ল্যান্ডার শুধুমাত্র মঙ্গলগ্রহ প্রথমে কীভাবে তৈরি হয়েছে সেটা জানায়নি, বরং প্রকাশ্যে এসেছে মঙ্গলগ্রহের ধরন বা প্যাটার্ন। এর ফলে নাসার ভবিষ্যতের মিশন যেখানে নভশ্চর অর্থাৎ মানুষ পাঠিয়ে মঙ্গলগ্রহে অভিযান চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে, সেই পর্যায়ে সাহায্য হবে।

ইনসাইট ল্যান্ডার ছাড়াও অন্যান্য অনেক অভিযানের মাধ্যমেই মঙ্গলগ্রহকে অন্বেষণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি। লালগ্রহের বুকে রয়েছে নাসার মার্স রোভার পারসিভের‍্যান্স এবং ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার। এই পারসিভের‍্যান্স রোভার মঙ্গলগ্রহ থেকে পাথুরে নমুনা সংগ্রহ করেছে ইতিমধ্যেই। এইসব নমুনা ফিরিয়ে আনা হবে পৃথিবীতে। আর তা পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে আরও দারুণ সব তথ্য প্রকাশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মূলত মঙ্গলগ্রহে প্রাচীন মাইক্রোবিয়াল জীবনের চিহ্ন ছিল কিনা তা খুঁজতেই এইসব নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি পৃথিবীর মতো মঙ্গলগ্রহও মনুষ্য বসবাসযোগ্য কিনা তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।

পারসিভের‍্যান্স রোভারের পাশাপাশি ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার মঙ্গলগ্রহের প্রায় সর্বত্রই উড়ে বেড়াচ্ছে। তার মূল নজর রয়েছে লালগ্রহের বিখ্যাত Jezero Crater এলাকায়। এই বিখ্যাত গহ্বরে আগে একটি লেক বা হ্রদ ছিল এবং এখন তা শুকিয়ে গিয়েছে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। এই অঞ্চলে প্রাচীনকালের জীবনের চিহ্ন পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- Earth 2.0: এই পৃথিবীর বাইরে আরও একটা পৃথিবী! সেই ‘আর্থ ২.০’ খুঁজতে মহাকাশের গভীরে যাওয়ার পরিকল্পনা চিনের