Parker Solar Probe: ফের সূর্যকে ছুঁয়ে ফেলেছে নাসার পার্কার মহাকাশযান, অনুভব করেছে ৭৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা
Parker Solar Probe: ১১তম বারে সূর্যের ৫.৩ মিলিয়ন মাইলের মধ্যে এসে পড়েছিল পার্কার মহাকাশযান (Parker Spacecraft)। আর সেখানেই নাসার এই মহাকাশযান (NASA Parker Spacecarft) অনুভব করেছে ৭৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (760 degrees Celsius) উষ্ণতা।

নাসার মহাকাশযান পার্কার (Parker Solar Probe) ফের একবার ছুঁয়ে ফেলেছে সূর্যকে। সৌরকণার (solar particles) উত্তাপ অনুভব করে ওই মহাকাশযান জানান দিয়েছে যে এই উষ্ণতা প্রায় ৭৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (760 degrees Celsius) সমান। নাসার পার্কার সোলার প্রোবের মাধ্যমে আসলে সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছনোই একমাত্র লক্ষ্য। নতুন করে সূর্যের কাছাকাছি গিয়েছে সৌরকণার গনগনে আঁচ অনুভব করেছে পার্কার মহাকাশযান। সূর্য কীভাবে গঠন হয়েছে, আমাদের সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র কীভাবে কাজ করে তা গভীরভাবে বোঝার জন্যই এই পার্কার সোলার প্রোব ১১তম বারের জন্য সূর্যের একদম কাছাকাছি গিয়েছে। এই ক্লোজ অ্যাপ্রোচ বা কাছাকাছি যাওয়াকে বলা হয় পেরিহিলিয়ন (perihelion)। এই সময় দেখা গিয়েছে পার্কার মহাকাশযান ঘণ্টায় ৫৭৯৩৬৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ছুটে যায়।
Today, Parker Solar Probe completed its 11th close approach to the Sun, coming within 5.3 million miles from the Sun. At this distance, the spacecraft experienced temperatures exceeding 1400°F.#ParkerPerihelion pic.twitter.com/VpN89QL98i
— NASA Sun & Space (@NASASun) February 25, 2022
১১তম বারে সূর্যের ৫.৩ মিলিয়ন মাইলের মধ্যে এসে পড়েছিল পার্কার সোলার প্রোব। এই দূরত্বের মধ্যে নাসার মহাকাশযান পার্কার ১৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটেরও বেশি তাপমাত্রা উপলব্ধি করেছে। সম্প্রতি নাসা টিম টুইট করে একথা জানিয়েছে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, নাসার মহাকাশযান পার্কার যা সূর্যকে ছুঁয়ে ফেলার অভিযানে যুক্ত হয়েছে, সেই মহাকাশযান সূর্যের চারপাশে একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে রয়েছে। এই মহাকাশযান তার অভিযানের প্রাথমিক পর্যায়ে ক্রমশ পৃথিবী থেকে দূরে সরে গিয়েছিল এবং বেশ অদ্ভুত ভাবেই পৌঁছে গিয়েছিল শুক্র গ্রহের কক্ষপথের কাছাকাছি।
মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা জানিয়েছে, তাদের মহাকাশযান পার্কার আমাদের নক্ষত্র অর্থাৎ সূর্যের সম্পর্কে ক্রমশ বিশদে জানতে পারবে। আরও অনেক তথ্য প্রকাশ্যে আসবে এই মহাকাশযানের মধ্যে থাকা বিজ্ঞানভিত্তিক যন্ত্রাংশের মাধ্যমে। এর কারণ হল আগের তুলনায় নতুন করে সূর্যের আরও অনেকটা কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে নাসার পার্কার মহাকাশযান। ২০১৮ সালে শুরু হয়েছে নাসার পার্কার সোলার প্রোব। মূলত সূর্যকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করাই এই মহাকাশযানের কাজ। Eugene Parker, যিনি সোলার উইন্ড বা সৌর বায়ুর ধারণা প্রকাশ করেছিলেন, তাঁর নামানুসারেই নাসার এই মহাকাশযানের নামকরণ করা হয়েছে পার্কার। মার্কিন স্পেস এজেন্সির এই সোলার প্রোভ বা মিশনের লক্ষ্য হল বিভিন্ন ধরনের সোলার অ্যাক্টিভিটি বা সৌর ক্রিয়াকলাপের ব্যাপারে তথ্য আহরণ করা এবং সূর্যের করোনার ব্যাপারে গবেষণা করা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সূর্যের একদম বাইরের অংশকে বলা হয় করোনা।
১০তম বারে নাসার এই পার্কার মহাকাশযান সৌরপৃষ্ঠের ৮.৫ মিলিয়ন কিলোমিটারের মধ্যে এসে পড়েছিল। গত বছর ডিসেম্বর মাসে পার্কার সোলার প্রোব ছিল প্রথম মনুষ্য-সৃষ্ট অবজেক্ট বা বস্তু যা সূর্যের বায়ুমণ্ডল যাকে করোনা বলা হয় সেই অংশে প্রবেশ করেছিল। এই উড়ানের সময় পার্কার স্পেসক্র্যাফট সূর্য থেকে উদ্ভুত বিভিন্ন কণা এবং চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের নমুনা সংগ্রহ করেছিল।
আরও পড়ুন- Cat’s Eye Nebula: বিড়ালের চোখের মতো নীহারিকা! কেমন শব্দ হবে এই নেবুলার?