বাজপাখি থেকে চিতা, সবাই এই প্রাণীর কাছে নস্যি! শিকার ধরে রকেট গতিতে
Peregrine Falcon or Rocket Bird: পেরেগ্রিন ফ্যালকন ঘন্টায় 390 কিলোমিটার বেগে তার শিকারকে আক্রমণ করে। এই পাখিটি তার গতির কারণেই পরিচিত। আকাশ হোক বা মাটি, রকেট পাখির আক্রমণের গড় গতি প্রতি ঘণ্টায় 320 কিলোমিটার। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক টিভি প্রোগ্রাম অনুসারে, এই পাখির সর্বোচ্চ গতি হতে পারে 390 কিমি প্রতি ঘন্টা।
সবচেয়ে দ্রুত শিকারী প্রাণী বললে আপনার প্রথমেই কার কথা মাথায় আসে? চিতা, বাজপাখি, ঈগল এরাই তো? কিন্তু এমনও একটি প্রাণী রয়েছে, যা এদের সবাইকে পিছনে ফেলে দিতে পারে। জানলে অবাক হবেন, এই পাখিটি চিতার চেয়ে পাঁচগুণ গতিতে তার শিকারকে আক্রমণ করে। সবচেয়ে আক্রমণাত্মক বাজপাখি এবং ঈগল। কিন্তু কতজনই বা আর এই পেরিগ্রিন ফ্যালকন নামক পাখিটির কথা জানে। এটি রকেট বার্ড নামেও পরিচিত। এদের সাধারণত উত্তর আমেরিকায় পাওয়া যায়।
সবাইকে পিছনে ফেলে তালিকার শীর্ষে…
পেরেগ্রিন ফ্যালকন ঘন্টায় 390 কিলোমিটার বেগে তার শিকারকে আক্রমণ করে। এই পাখিটি তার গতির কারণেই পরিচিত। আকাশ হোক বা মাটি, রকেট পাখির আক্রমণের গড় গতি প্রতি ঘণ্টায় 320 কিলোমিটার। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক টিভি প্রোগ্রাম অনুসারে, এই পাখির সর্বোচ্চ গতি হতে পারে 390 কিমি প্রতি ঘন্টা। এর গতি এতটাই বেশি যে, চোখের পলকে তার শিকারকে আক্রমণ করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই পাখির শিকার খালি চোখে দেখতে পাওয়া খুব কঠিন। তবে কোনও ভিডিয়ো থাকলে স্লো মোশনে দেখা যাবে। চিতার আক্রমণের গতি ঘণ্টায় 80-130 কিলোমিটার আর ঈগলের ঘন্টায় 250-300 কিলোমিটার। তাহলে বুঝতেই পারছেন রকেট পাখি এই সব কিছুর উর্দ্ধে।
এই পেরেগ্রিন ফ্যালকন দেখতে কেমন?
রকেট পাখির শরীরের সামনের অংশ সাদা আর পিছনের অংশ নীল ও বাদামী। পাখিটির মাথার রং কালো। এটি ডাক হক নামেও পরিচিত। এর বিশেষ বিষয় হল পুরুষ পেরিগ্রিন ফ্যালকন আকারে স্ত্রীর চেয়ে ছোট। এই পাখিটি 13 থেকে 23 ইঞ্চি লম্বা হতে পারে। ডানা 29-47 ইঞ্চি লম্বা হতে পারে। একটি স্ত্রী পেরেগ্রিন ফ্যালকনের ওজন 1.5 কেজি হতে পারে তবে পুরুষের ওজন হয় 1 কেজি। এই প্রজাতির পাখি পৃথিবীর শীতলতম স্থানে পাওয়া যায়। কিন্তু পাখিটি সর্বত্র বেঁচে থাকতে পারে। সাধারণত এরা নদী উপত্যকা ও তীরে বাস করে।