Zone Of Silence: কোথাও টুঁ শব্দটিও নেই! অকেজো সব যন্ত্র, কোথায় আছে এমন অপার নীরবতা?
Mystery Behind Mexico Chihuahuan Desert: চিহুয়াহুয়া মরুভূমি প্রায় একটি অনুর্বর এলাকা। এই জায়গাটি সারা বিশ্বেই খুব বিখ্যাত। এই জায়গায় পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু কেন? এই উত্তপ্ত মরুভূমি সম্পর্কে আর কী জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা?
সারা বিশ্বে এমন অনেক রহস্যময় জায়গা রয়েছে, যেগুলোর সন্ধান পেয়ে বিজ্ঞানীরাও অবাক হন। এরকম একটি জায়গার খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নাম ‘জোন অফ সাইলেন্স’। মেক্সিকোর চিহুয়াহুয়া মরুভূমিকে বলা হয় নিস্তব্ধ অঞ্চল বা জোন অফ সাইলেন্স। এই জায়গাটি মানুষের সারা বিশ্বে এমন অনেক রহস্যময় জায়গা রয়েছে, যেগুলোর সন্ধান পেয়ে বিজ্ঞানীরাও হতবাক হন। এরকম একটি জায়গার খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নাম ‘জোন অফ সাইলেন্স’। মেক্সিকোর চিহুয়াহুয়া মরুভূমিকে বলা হয় নিস্তব্ধ অঞ্চল বা জোন অফ সাইলেন্স। এই জায়গাটি মানুষের নাগালের থেকে অনেক দূরে। এই জায়গায় মানুষের চিহ্ন নেই। অথচ এই জায়গা থেকে মাত্র 25 মাইল দূরত্বে জনবসতি রয়েছে। তাতেও কোনও শব্দ পৌছায় না কেন? সব থেকে অবাক করা ব্যাপার হল এখানে কোনও ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি কাজ করে না। কিন্তু কেন? এই উত্তপ্ত মরুভূমি সম্পর্কে আর কী জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা? এই জায়গার সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন কী করে? চলুন জেনে নেওয়া যাক সব প্রশ্নের উত্তর।
চিহুয়াহুয়া মরুভূমিটি কেমন?
চিহুয়াহুয়া মরুভূমি প্রায় একটি অনুর্বর এলাকা। এই জায়গাটি সারা বিশ্বেই খুব বিখ্যাত। এই জায়গায় পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিজ্ঞানী ও গবেষকদের অনেক চেষ্টার পরেও এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে, কেন এবং কীভাবে এখানে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি অকেজো হয়ে যায়। ঠিক এই কারণেই একে নিস্তব্ধ অঞ্চল বা জোন অফ সাইলেন্স বলা হয়।
এই অঞ্চলের আবিষ্কার কবে করেন বিজ্ঞানীরা?
1970 সালে প্রথমবার বিজ্ঞানীরা এই অঞ্চলের সন্ধান পান। তারপরেই এই অঞ্চল নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছিল। গবেষণার প্রধান কারণ ছিল, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা, যে এখানে কেন কোনও ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি কাজ করে না? মার্কিন বিমান বাহিনীর বিশেষজ্ঞদের একটি দল, এর কারণ জানতে চিহুয়াহুয়া মরুভূমিতে পৌঁছায়। তখন হঠাৎ তাঁরা দেখতে পায়, তাদের GPS কোনওভাবেই সেখানে কাজ করছে না। তারপর তাঁরা পরীক্ষা করে দেখেন, শুধু জিপিএস নয়, এমনকি সমস্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইসই এই এলাকায় কাজ করছে না। সেই সময় গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, 1970-এর আগে একটি আমেরিকান ক্ষেপণাস্ত্র সেখানে ফেলা হয়। তারপর সেই জায়গা পুরোপুরিভাবে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকেই জায়গাটি এমন অদ্ভুত হয়ে গিয়েছে। সেখানে মেক্সিকো সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিরাট ল্যাব তৈরি করা হয়েছে।
কেন মেক্সিকো সরকার বিশাল ল্যাব চালু করল?
আমেরিকান দলের তদন্তের পরপরই মেক্সিকো সরকার চিহুয়াহুয়া মরুভূমিতে একটি বিশাল ল্যাব তৈরি করে, যার নাম ছিল ‘দ্য জোন’। মেক্সিকো সরকার জানিয়েছে, চিহুয়াহুয়া মরুভূমির রহস্য জানার জন্য এই ল্যাবটি স্থাপন করা হয়েছে। এই অদ্ভুত জায়গার গাছপালা ও পোকামাকড় নিয়েও গবেষণা করা হবে বলে। ল্যাবটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আর কোনও তথ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে না। তাই অনুমান করা হচ্ছে, সেখানে কোনও গোপন গবেষণা চালানো হচ্ছে।