‘দিদিকে বলো’-র অনুকরণে এবার ‘সৌরভকে বলো’, ফের বিতর্কে তৃণমূল
ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে আপনার সমস্যার সমাধানে সৌরভ (ঘুটিস) কে বলো।' বিধিভঙ্গ করে প্রচারের অভিযোগ বিজেপির (BJP)
আলিপুরদুয়ার: সর্বাগ্রে করোনা টিকা নেওয়ার জন্য বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আগেই। এবার ‘দিদিকে বলো’-র কর্মসূচির (Didi ke Bolo) অনুকরণে ‘সৌরভকে বলো’ কর্মসূচির জেরে বিতর্কের শিরোনামে আলিপুরদুয়ারের বিদায়ী বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী।
শনিবার সকাল থেকেই সারা আলিপুরদুয়ার জুড়ে ‘সৌরভকে বলো’ কর্মসূচির ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছে এলাকা। ব্যানারের একদিকে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছবি। অন্যদিকে, হাত জোড় করা সৌরভ চক্রবর্তীর ছবি। ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে আপনার সমস্যার সমাধানে সৌরভ (ঘুটিস) কে বলো।’ রয়েছে জোড়াফুলের প্রতীকও। তার তলায় দেওয়া রয়েছে একটি মোবাইল নম্বর। সময় দেওয়া হয়েছে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
এই ব্যানারের জেরেই উত্তাল আলিপুরদুয়ার। কীভাবে কাজ করবে ‘সৌরভকে বলো’? বিদায়ী বিধায়ক জানিয়েছেন, এই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষকে ভোটের পরিষেবা দেবেন তিনি। এক ফোন কলেই হাত বাড়িয়ে দেবে সৌরভের টিম। প্রদত্ত নম্বরে ফোন করে সমস্যা জানালেই, জরুরী ভিত্তিতে যে সমস্ত তথ্য পৌঁছে যাবে সৌরভের টিমের কাছে। প্রত্যেক সমস্যার জন্য আলাদা ধরনের লোক বসানো আছে। তাঁরাই গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবেন। সেইজন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে সময়ও।
সৌরভের এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী সুমন কাঞ্জিলাল। তাঁর অভিযোগ, কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ আছে, নির্বাচনকালে এমন পরিষেবা প্রদান করা যাবে না। সেখানে বিদায়ী বিধায়ক কী করে এই ধরনের পরিষেবা দিচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গেরুয়া প্রার্থী। সুমন স্পষ্টই বলেন, ‘এই মুহূর্তে কাউকে কোন রকম পরিষেবার প্রলোভন দিয়ে ভোট আদায় করার চেষ্টাতে কোন লাভ হবে বলে আমি মনে করি না।’
যদিও গেরুয়া শিবিরের এই আপত্তিকে পাত্তা দিতে রাজি নন আলিপুরদুয়ারের পাঁচবছরের বিধায়ক। সৌরভ বলেন, ‘ আমি প্রচারে গিয়ে দেখেছি, মানুষেরা নানারকম সমস্যা। সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয় না সবসময়। এই পরিস্থিতিতে কোনও সরকারি প্রকল্প বা কর্মসূচি হিসেবে নয়, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানুষকে সাহায্য করতে আমি এই পদক্ষেপ করেছি।’
আরও পড়ুন: বাংলা আর বিজেপি মেলে না, মানুষ সঠিক বিকল্পই বেছে নেবেন: কানহাইয়া কুমার