Tea Garden: মাসে ১৫০০ টাকায় কী হবে? মমতার ঘোষণায় প্রশ্ন চাকরিহারা চা-শ্রমিকদের

Alipurduar Tea Garden: উল্লেখ্য, গতকাল আলিপুরদুয়ারের সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে একদিকে যেমন কৃষকদের পাশে দাঁড়ান তিনি, তেমনই বন্ধ হয়ে যাওয়া চা বাগানের শ্রমিকদের উদ্দেশ্যেও বার্তা দেন মমতা। জানান, তাঁদের মাসে-মাসে দেড় হাজার টাকা দেওয়া হবে।

Tea Garden: মাসে ১৫০০ টাকায় কী হবে? মমতার ঘোষণায় প্রশ্ন চাকরিহারা চা-শ্রমিকদের
চা শ্রমিকদের একাংশের ক্ষোভImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 11, 2023 | 3:04 PM

আলিপুরদুয়ার: রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধ হয়ে যাওয়া চা বাগানের শ্রমিকদের দেড় হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী চলে যেতেই এই অনুদান নিয়ে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের একাংশ। তাঁদের একটাই দাবি বন্ধ হয়ে যাওয়া বাগান পুনরায় খুলে যাক। অপরদিকে, বিরোধীদের দাবি ভোট কিনতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুদান ও পাট্টা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, গতকাল আলিপুরদুয়ারের সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে একদিকে যেমন কৃষকদের পাশে দাঁড়ান তিনি, তেমনই বন্ধ হয়ে যাওয়া চা বাগানের শ্রমিকদের উদ্দেশ্যেও বার্তা দেন মমতা। জানান, তাঁদের মাসে-মাসে দেড় হাজার টাকা দেওয়া হবে। সঙ্গে পানীয় জল,বিদ্যুত,স্বাস্থ্য পরিষেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় খুশি নয় বন্ধ হয়ে যাওয়া চা বাগান শ্রমিকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ১৫০০ টাকা দিয়ে কী হবে? তাঁরা চান বাগান খুলুক। যদি বাগান না খোলে ভোট বয়কট করা হবে। বিজয় লাহোরা বলেন, “দিদিকে ধন্যবাদ আমাদের নিয়ে ভাবার জন্য। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই টাকা দিয়ে কিছু হবে না। আমি জল কিনে খাই। স্কুলের খরচ রয়েছে। এই টাকায় কী হবে? সরকার আমাদের দেখলে ভোট পাবে। নচেত নয়।”

বস্তুত, আলিপুরদুয়ারে ৭ টি চাবাগান বন্ধ। কর্মহীন প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক। অনেক শ্রমিক রুটি রুজির টানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন। এক কথায় চা বাগানে চলছে সংকট। অবসর গ্রহণ করা হাজার শ্রমিক পিএফ পাচ্ছেন না। মিলছে না তাঁদের প্রাপ্য পাওনা। আলিপুরদুয়ারের কালচিনি,রায়মাটাং,দলসিংপাড়ার অবস্থা ভয়াবহ। এই পরিস্থিতিতে একাংশ ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেছেন, আমরা যে রেশন পাই তার মধ্যে অর্ধেক সময় পোকা থাকে চালে। খেতে পাই না। এই দেড় হাজার টাকা নিয়ে কী করব?

বিজেপির বিটি ডব্লিউইউ-র সাধারণ সম্পাদক রাজেশ বারলা বলেন,”মুখ্যমন্ত্রী এসে যা বলে গিয়েছেন। এটা রাজনীতি। চা শ্রমিকরা চান বাগান খুলুক।” এদিকে প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “এটা একটি সাপোর্ট। বন্ধ চাবাগানে অনাহারে অপুষ্টিতে বহু লোক মারা যেত। তাই মুখ্যমন্ত্রী এসব যাতে না হয় সেজন্য এককালীন ১৫০০ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আর এটা ভোট রাজনীতি নয়। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি সভায় বলেছেন।”