Corona Vaccine: ‘টিকা নিলে মরে যাব!’ তৃতীয় ঢেউয়েও ভ্যাকসিনে অনীহা চা শ্রমিকদের

Alipurduar: বিজেপি অবশ্য দাবি করেছে স্বাস্থ্য ভবন সঠিক ভাবে প্রচার করেনি।

Corona Vaccine: 'টিকা নিলে মরে যাব!' তৃতীয় ঢেউয়েও ভ্যাকসিনে অনীহা চা শ্রমিকদের
টিকায় অনীহা চা শ্রমিকদের (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2022 | 8:25 PM

আলিপুরদুয়ার: মনে পড়ে সেই রিং টোন? ‘আমাদের রোগের সঙ্গে লড়তে হবে,রোগীর সঙ্গে নয়।’ অথচ এই লড়াই যে কেবল রোগের সঙ্গে নয়, লড়াইটা ভ্রান্ত ধারনা এবং অন্ধ বিশ্বাসের সঙ্গেও সে কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন চা বাগানের শ্রমিকরা। অন্ধ বিশ্বাসের কারণে টিকা নিতে চাইছেন না তাঁরা ।

করোনার টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে কেন্দ্র-রাজ্য উভয় সরকার তৎপর হয়েছে। প্রশাসন রীতিমত প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকদের দরজায়-দরজায় গিয়ে অনুরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। শুধু প্রচার নয়, এমনকী দ্বিতীয় ডোজ়ের টীকা না নিলে কাজে নেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও চা শ্রমিকদের একটা বড় অংশ টীকা নিতে চাইছেন না।

ডুয়ার্সের কালচিনি ব্লক। এইখানে চা শ্রমিকদের একটা বড় অংশ এখনও ডাবল ডোজ়ের টিকাকরণ হয়নি। এই চিত্র গোটা উত্তরবঙ্গের চাবলয়ে। উত্তরবঙ্গে ৩০০ টির উপর চা বাগান রয়েছে। অধিকাংশ চাবাগানে দ্বিতীয় ডোজ় এখনও হয়নি। অনেক শ্রমিক কোনও ভ্যাকসিনই নেননি। চা শ্রমিক নেতারা বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাও হচ্ছে না। তারা চা মালিকদের কাছে একদিন ছুটি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন। কালচিনি ব্লকেই রয়েছে ২১ টি চাবাগান। সেখানে অনেক শ্রমিক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ় নিলেও নিতে চাইছেন না দ্বিতীয় ডোজ়।

কিন্তু কেন ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না শ্রমিকরা?

শ্রমিকদের কথায়, তাদের বিশ্বাস ভ্যাকসিন নিলে শরীর অসুস্থ হবে। আর তাঁরা কাজ করতে পারবেন না। এমনকী মৃত্যুও হতে পারে। তাই তারা ভ্যাকসিন নেবেন না। যদিও ক্যামেরার সামনে শ্রমিকরা কিছু বলতে চাইছেন না।

বিভিন্ন বাগান ইতিমধ্যে ভ্যাকসিনের ডাবল ডোজ় না থাকলে কাজে যোগদানের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই ব্যাপারে মাঝের ডাবড়ী চাবাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, “বিষয়বটি যথেষ্ট উদ্বেগের। আমরা শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। যাতে শ্রমিকরা যাঁরা ভ্যাকসিন নেননি তারা যেন ভ্যাকসিন নেন। আর ভ্যাকসিন না নিলে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।”

এদিকে, এই ব্যাপারে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “চা বাগান নয় আলিপুরদুয়ার শহরের কাছে ভোলারডাবড়ী এলাকায় অনেকে ভ্যাকসিন নেননি। আসলে স্বাস্থ্য দফতরের যে ভাবে প্রচার করার কথা ছিল তা করা হয়নি।”

আরও পড়ুন: Fraud Case: ৪০ লক্ষ টাকা পেতে ৫ বছরে ১৭ লক্ষ জমা, পরে জানলেন সর্বস্বান্ত হয়েছেন! মর্মান্তিক পথ বাছলেন প্রৌঢ়