Bankura: ‘উদয়ন গুহ, কুণাল ঘোষদের মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারবে জনগণ’, বিতর্কিত মন্তব্য় BJP বিধায়কের
Bankura BJP MLA : উত্তরবঙ্গে দলীয় সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বাঁকুড়ার সোনামুখী চৌরাস্তা মোড়ে বিজেপির বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। তাতে বিতর্ক দানা বাঁধে।

বাঁকুড়া: ছাব্বিশের নির্বাচনে উদয়ন গুহ, কুণাল ঘোষদের মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারবে জনগণ। প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি বিজেপি বিধায়ক। নাগরাকাটায় দুর্গত এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটে চোখের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে খগেন মুর্মুর। এই ঘটনায় জনরোষের তত্ত্ব খাড়া করেছে তৃণমূল। পাল্টা এই ঘটনায় উদয়ন গুহ ও কুণাল ঘোষকে তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী। তিনি বলেন, “ছাব্বিশের নির্বাচনের পর তাঁদের মুখে এলাকার মানুষ পাথর নয়, অ্যাসিড ছুড়ে মারবে।”
উত্তরবঙ্গে দলীয় সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বাঁকুড়ার সোনামুখী চৌরাস্তা মোড়ে বিজেপির বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। তাতে বিতর্ক দানা বাঁধে।
সোমবার বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গে দূর্গতদের ত্রাণ দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সেই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বাঁকুড়ার সোনামুখী চৌরাস্তা মোড়ে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখানেই দিবাকর ঘরামি সরাসরি তৃনমূল নেতা উদয়ন গুহ ও কুনাল ঘোষকে নিশানা করেন। তাঁর দাবি বিজেপির সাংসদ ও বিধায়কের উপর এই হামলার ঘটনাকে উদয়ন গুহ ও কুনাল ঘোষ জনরোষ বলছেন। বিধায়ক স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “২০২৬ সালের নির্বাচনের পর জনরোষ হবে। তখন উদয়ন গুহ ও কুণাল ঘোষকে পাথর নয়, ওই এলাকার মানুষ অ্যাসিড ছুড়ে মারবে। তাঁদের এই পচা মুখগুলো পুড়িয়ে দেবে এলাকার জনগণ।” পরে আবার নিজের বক্তব্যের সমর্থনে দিবাকর বলেন, “উদয়ন গুহ আসলে একজন গুন্ডা। মানুষের উপর অত্যাচার করে যাচ্ছেন। মানুষ তাঁকে ছেড়ে দেবে না।”
বিজেপি বিধায়কের এমন মন্তব্যের কড়া নিন্দা করে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, এটা বিজেপির সংস্কৃতি। তৃনমূলের পাল্টা হুঁশিয়ারি, ” বিধায়ক সাবধান হয়ে যান। আপনাকে ঘেরাও করে রাখতে তৃণমূলের বেশি সময় লাগবে না। তখন বিধায়ক এলাকায় ঢুকতে ও বেরোতে পারবেন না।”
