Bankura: কীসের টানে বাঘ এসেছে বাঁকুড়ায়? জানা মাত্রই আর বাঘকে বন্দি না করার সিদ্ধান্ত বনদফতরের
Bankura: বন দফতরের দাবি উপযুক্ত পরিবেশের টানেই বারেবারে এ রাজ্যের ওই জঙ্গলগুলিতে ছুটে আসছে বাঘ। সম্ভবত তারা পাকাপাকি ভাবে সেখানে বসবাসের চেষ্টাও করছে। এ রাজ্যে এসে বন দফতরের ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হয়ে জিনাতকে ফিরতে হয়েছিল সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পে।
বাঁকুড়া: স্থায়ী ঠিকানার খোঁজেই কি জঙ্গলমহলে বাঘ? এখনই বাঘকে বন্দি না করে শুধুমাত্র নজরদারির পরিকল্পনা বন দফতরের। এ রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে একের পর এক জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘ। একবার নয়, গত একমাসে পরপর তিনবার বাঘ এসেছে ঝাড়গ্রাম,পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার সীমান্তবর্তী জঙ্গলে। তাহলে কি পশ্চিমের জেলাগুলিতে আগামীতে পাকাপাকিভাবে বসবাস করতে চাইছে বাঘ? আদৌ কি সেই জঙ্গলে বাঘ বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে? এই বাঘকে ঘিরে কী পরিকল্পনাইবা করছে বন দফতর? প্রশ্ন উঠছে।
২০১৮ সালে বাঁকুড়া জেলা ঘুরে ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড়ে প্রবেশ করেছিল একটি বাঘ। কিন্তু সে বাঘ আর ফিরে যেতে পারেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছিল তার। সেই ঘটনার ৫ বছর যেতে না যেতেই ফের জঙ্গলমহলে বাঘ আসে গত বছরের শেষে। সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে পালিয়ে আসা বাঘিনি জিনাত ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া জেলা ঘুরে ডিসেম্বরের শেষে বন দফতরের হাতে ধরা পড়ে বাঁকুড়ায়। তারপর থেকে গত একমাসে মোট ৩ বার বাঘ এসেছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে।
ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার সীমান্তবর্তী জঙ্গলগুলিতে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘ। কিন্তু কেন বারংবার ওই জঙ্গলগুলিতে বাঘের আগমন ঘটছে? বন দফতরের দাবি, মধ্যভারতে যে জঙ্গলে বাঘ বসবাস করে সেই একই ধরনের জঙ্গল রয়েছে ওই ৩ জেলার সীমানাবর্তী এলাকায়। জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য ঝোরা। রয়েছে বিপুল সংখ্যক বুনো শুকর, হরিণ-সহ বিভিন্ন তৃনভোজী প্রাণী। ফলে বাঘের খাদ্য ও পানীয় জলের কোনও অভাব নেই। জঙ্গল ঘন হওয়ায় নিরিবিলিতে বসবাসেরও যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
বন দফতরের দাবি উপযুক্ত পরিবেশের টানেই বারেবারে এ রাজ্যের ওই জঙ্গলগুলিতে ছুটে আসছে বাঘ। সম্ভবত তারা পাকাপাকি ভাবে সেখানে বসবাসের চেষ্টাও করছে। এ রাজ্যে এসে বন দফতরের ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হয়ে জিনাতকে ফিরতে হয়েছিল সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পে। পরবর্তীতে ঝাড়গ্রাম হয়ে পুরুলিয়ায় যাওয়া বাঘ এ রাজ্যে কয়েকদিন কাটিয়ে স্বেচ্ছায় ফিরেছিল ঝাড়খণ্ডে। কিন্তু এবার বাঁকুড়ায় গত ৫ দিন ধরে ঘাঁটি গেড়ে থাকা বাঘকে ঘিরে কী পরিকল্পনা রয়েছে বন দফতরের?
বন দফতরের দাবি, এবার বাঁকুড়ায় আসা বাঘ এখনও পর্যন্ত মানুষের কোনও ক্ষতি করেনি। লোকালয়েও হানা দেয়নি। বরং মানুষের সাড়াশব্দ পেলেই সে গা ঢাকা দিচ্ছে গভীর জঙ্গলে। তা ছাড়া দ্রুত বাঘ নিজের অবস্থান বদল করায় তাকে নজরবন্দি রাখাও হয়ে পড়ছে খুব কঠিন। রেডিও কলার না থাকায় সেই কাজ আরো কঠিন হয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বন দফতর শুধুমাত্র তার উপর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। বন দফতরের দাবি, এখনই এই বাঘকে বন্দি করার কোনও পরিকল্পনা নেই বন দফতরের। সেক্ষেত্রে একদিকে বাঘের নিরাপত্তা অন্যদিকে জঙ্গলমহলের মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে রাখাই এখন বন দফতরের একমাত্র লক্ষ্য।