Bankura: মেডিক্যাল কলেজের কর্তৃপক্ষকে পাশে বসিয়েই একহাত নিলেন তৃণমূল বিধায়ক, বললেন, ‘বেদখল হয়ে যাচ্ছে জায়গা’
West Bengal: সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিস্ফোরক অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল।
বাঁকুড়া: বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ। সেই কলেজেরই একাধিক জায়গা ধীরে-ধীরে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। অথচ নজর নেই কর্তৃপক্ষর। সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিস্ফোরক অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল।
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা রাইপুরের তৃণমূল বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু। বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে একশ্রেণির আধিকারিকরা। আমি খবর পাচ্ছি বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের জায়গা ক্রমশ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। আর এতে কোনও নজর নেই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষর।’ কলেজের একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে জেলা শাসককে পাশে বসিয়ে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষকে এই ভাবেই একহাত নিয়ে বিধায়ক। তাঁর সেই বক্তব্য সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য।
এ দিন, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে রোগীর পরিজনদের প্রতিক্ষালয় উদ্বোধনের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠান শুরুর পর মাঝপথে অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে উঠেই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিশানা করেন সভাধিপতি। তিনি বলেন, ‘মেডিক্যাল কলেজের জায়গা দিনের পর দিন বেদখল হয়ে যাচ্ছে। সে ব্যাপারে নজর দিচ্ছে না মেডিক্যালের সুপার ও অধ্যক্ষ। এরফলে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দূর দূরান্ত থেকে চিকিৎসার আশায় আসা রোগী ও রোগীদের পরিজনদের।’
বিষয়টি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ কার্যত সভাধিপতির অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের দাবি তাঁদের একার পক্ষে সেই বে আইনী দখলদার সরানো সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও পুরসভার হস্তক্ষেপ দাবি করেছে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। বিজেপির দাবি জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রশাসনেরই অঙ্গ। তিনি এ ব্যাপারে দায় এড়াতে পারেন না। স্থানীয়দের দাবি দখলদারদের প্রকৃত পুনর্বাসন দিয়ে দখলদার সরানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিক প্রশাসন।