Bankura Murder : গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য বাঁকুড়ায়, স্বামীর পরকীয়ার জেরে ‘খুন’?
Bankura Murder : ঘটনায় অপর্ণার বাপের বাড়ির তরফে বধূহত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মেজিয়া থানায়। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর মৃতার স্বামী সমরেশ বাউরি সহ মৃতার শাশুড়ি ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাঁকুড়া : গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার (Bankura) মেজিয়া থানার রাইডিহি গ্রামে। নিজের ঘর থেকেই এদিন ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম অপর্ণা বাউরি। সূত্রের খবর, বছর দেড়েক আগে মেজিয়ার পুরুনিয়া গ্রামের অপর্ণা পরিবারের সম্মতি ছাড়াই বিয়ে করেছিল রাইডিহি গ্রামের সমরেশকে। স্বামী সমরেশের ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই অপর্ণা খুন (Murder) হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। এই খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। মৃত্যুর কারণ নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
এই ঘটনায় অপর্ণার বাপের বাড়ির তরফে বধূহত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মেজিয়া থানায়। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর মৃতার স্বামী সমরেশ বাউরি সহ মৃতার শাশুড়ি ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আগামীকাল ধৃতদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অপর্ণার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে মেজিয়া থানার পুলিশ।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে বছর দেড়েক আগে বাঁকুড়ার মেজিয়া থানার পুরুনিয়া গ্রামের অপর্ণা ভালোবেসে বিয়ে করেন রাইডিহি গ্রামের সমরেশ বাউরীকে। পরিবার এই বিয়েতে প্রাথমিকভাবে রাজী না থাকলেও পরবর্তীতে বিয়ে মেনে নেয় দুই পরিবারই। অপর্ণার পরিবারের দাবি, বিয়ের পর অপর্ণা জানতে পারে স্বামী সমরেশের অপর একটি মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এরপরই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। দূরত্ব বাড়তে থাকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এমনকী প্রায়শই চরমে উঠত অশান্তি। যে কারণে একাধিকবার অপর্ণা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতেও চলে যেতেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন ঘর থেকে অপর্ণার দেহ উদ্ধারের পর তাঁকে মেজিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার ঠাকুমা বলেন, “আজ ওর শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে বলা হয় খাট থেকে পড়ে গিয়েছে আমাদের মেয়ে। তারপর থেকে আর কথা বলছে না। জানানো হয় ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার কথা শুনে আমরা ছুটি আসি। ও যদি গলায় দড়ি দিত তাহলে গলায় দড়ির দাগ থাকত। সেটা নেই। আত্মহত্যা করেছে এর কোনও প্রমাণও মেসেনি। ওরাই মেরে ফেলেছে আমাদের মেয়েকে। ” অপর্ণার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কঠোর শাস্তিরও দাবি করেছেন তিনি।