West Bengal Gets 680 Crore: রাজ্যের তিন হাজার পঞ্চায়েতে ‘লক্ষ্মী লাভ’! কয়েকশো কোটি টাকা পাঠাল কেন্দ্র
15th Pay Commission For Bengal: কেন্দ্র জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে সংযুক্ত (মৌলিক) অনুদান খাতে প্রাপ্য় অর্থের প্রথম কিস্তি হিসাবেই এই টাকা পেয়েছে রাজ্য সরকার। গত সোমবার রাজ্যের জন্য এই টাকায় 'ছাড়পত্র' দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। লাভ পেতে চলেছে বাংলার ৩ হাজার ২২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৩৩৫টি ব্লক এবং ২১টি জেলা পরিষদ। নতুন অর্থবর্ষে এটাই প্রথম কিস্তি হলেও কয়েক মাসে আগে পর্যন্তও এই সংক্রান্ত 'কেন্দ্রীয় অনুদান' ঢুকেছে রাজ্যে।

নয়াদিল্লি: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় বাংলার সরকারের হাতে ৬৮০ কোটি টাকা তুলে দিল কেন্দ্র। পঞ্চায়েতিরাজ প্রতিষ্ঠান বা সহজ ভাষায় বলতে গেলে, গ্রামোন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করে থাকে কেন্দ্র। অক্টোবরে যার প্রথম কিস্তি ঢুকে গেল রাজ্যের তহবিলে। লাভের মুখ দেখল গ্রামবাংলার হাজার হাজার পঞ্চায়েত, কয়েকশো ব্লক ও বেশ কয়েকটি জেলা পরিষদ।
কেন্দ্র জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে সংযুক্ত (মৌলিক) অনুদান খাতে প্রাপ্য় অর্থের প্রথম কিস্তি হিসাবেই এই টাকা পেয়েছে রাজ্য সরকার। গত সোমবার রাজ্যের জন্য এই টাকায় ‘ছাড়পত্র’ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার লাভ পেতে চলেছে বাংলার ৩ হাজার ২২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৩৩৫টি ব্লক এবং ২১টি জেলা পরিষদ। নতুন অর্থবর্ষে এটাই প্রথম কিস্তি হলেও কয়েক মাসে আগে পর্যন্তও এই সংক্রান্ত ‘কেন্দ্রীয় অনুদান’ ঢুকেছে রাজ্যে।
তাদের সংযোজন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত গত অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের টাকা পেয়েছে রাজ্য। শেষ অর্থবর্ষের চার দফা কিস্তি ও নতুন অর্থবর্ষের প্রথম কিস্তি মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্য়ের হাতে ৪ হাজার ১৮১ কোটি টাকা তুলে দিয়েছে কেন্দ্র। যার মধ্য়ে ২ হাজার ৮২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সংযুক্ত অনুদানের আওতায় এবং ২০৯৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে আবদ্ধ অনুদান খাতে। উল্লেখ্য, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় সংযুক্ত অনুদান খাতে কেন্দ্র এই অর্থ হস্তান্তর করে। মূলত গ্রামোন্নয়ন সংক্রান্ত, যেমন সড়ক, রাস্তার ধারের আলো, সৌরবিদ্যুৎ-সহ একাধিক উন্নয়ন খাতে এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়ে থাকে। আর আবদ্ধ অনুদান হল, গ্রামের জরুরি পরিষেবা যেমন, বৃষ্টি জল পরিশুদ্ধিকরণ, পুকুর তৈরি-সহ নানা উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ অর্থ।
এদিন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর তৃণমূল নেতারা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্রমাগত কুৎসা ছড়িয়ে চলেছেন। সেই আবহে এই অনুদান প্রমাণ করে যে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার গ্রামোন্নয়নে নিপুণ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’ অন্যদিকে তৃণমূলের অভ্য়ন্তরীণ সূত্রের দাবি, রাজ্যের প্রাপ্য আরও অনেক বেশি। সমস্ত নথি-তথ্য আগেই কেন্দ্রের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। যার দরুন গ্রামীণ উন্নয়ন খাতে এই প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছে।
