Paresh Adhikary: ‘আমার সঙ্গে বিয়ের আগেই বউ চাকরি পেয়েছিল’, পরিবার তোষণের অভিযোগে মুখ খুললেন পরেশ
Paresh Adhikary: সামগ্রিক বিষয়গুলি নিয়ে মন্ত্রী জানালেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যা। উল্টে এই সব অভিযোগকে আসলে বিরোধীদের 'চক্রান্ত' বলেই দাবি করলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, "এসব বিরোধীদের অভিযোগ। বিরোধীরা অভিযোগ আনতেই পারে।"
কোচবিহার : শিক্ষক নিয়োগ বেনিয়মের অভিযোগে মেয়েকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারপর থেকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হতে সেভাবে দেখা যায়নি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। শুধু মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়াই নয়, এর পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে পরিবার ও আত্মীয় মিলিয়ে ২৫ জনকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। দীর্ঘদিন পর বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন তিনি। সামগ্রিক বিষয়গুলি নিয়ে মন্ত্রী জানালেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যা। উল্টে এই সব অভিযোগকে আসলে বিরোধীদের ‘চক্রান্ত’ বলেই দাবি করলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “এসব বিরোধীদের অভিযোগ। বিরোধীরা অভিযোগ আনতেই পারে।”
মন্ত্রী বলেন, “যেগুলি কাগজে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলি সব মিথ্যা। এগুলি নিয়ে নতুন করে কিছু নেই। কারণ, চাকরি নিয়ে যেগুলি বলা হচ্ছে… আমার বউয়ের চাকরি… সেটা আমার বিয়ের আগেই। তাঁরা এখন অবসর নেওয়ার পথে।” তাহলে কি এবার এই অভিযোগগুলিকে নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন পরেশ অধিকারী? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “যে বিষয়গুলি বিচারাধীন। সেই বিষয়ে তো আর নতুন করে কিছু বলা যাবে না। তবে, আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে কথা হচ্ছে। তিনি যেভাবে বলেন, সেইভাবেই আইনি লড়াই চলবে।”
উল্লেখ্য, পরেশ অধিকারীর এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর এখনও পর্যন্ত জনসমক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নিজের মন্ত্রিসভার সদস্যের বিষয়ে কোনও কথা বলেননি। এমনকী পরেশের সঙ্গে সরাসরিও এই নিয়ে কোনও কথা হয়নি মমতার। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “নাহ, সরাসরি কোনও কথা হয়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গেও সরাসরি কোনও কথা হয়নি।” তবে দলীয় কর্মসূচি আগের মতোই চালিয়ে যাচ্ছেন পরেশ বাবু। সিবিআইয়ের তাঁকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গেও তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তবে সেখানে তাঁকে কী কী বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি পরেশ বাবু। কিন্তু বিষয়টিকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ হিসেবে মানতে চাইছেন না তিনি। তাঁর বক্তব্য, কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর, আবার অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।