AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Balurghat: লাইন দিয়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ, উধাও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক, পরে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়ে বললেন, ‘আমায় হেনস্থা করছে’

খানিকবাদে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ফোনে ফরেন্সিকের দায়িত্বে থাকা মহিলা চিকিৎসক অঙ্কিতা চুনাকর আসেন। কিন্তু বিক্ষোভের মুখে তিনিও ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে ময়নাতদন্ত শুরু করতে অস্বীকার করেন। বিকেল পাঁচটা পর অবশেষে ময়নাতদন্তের কাজ শুরু করেন তিনি। তবে এলাকাবাসীর দাবি, এই সমস্যা একদিনের নয়। দীর্ঘদিন ধরে এই চিকিৎসক দেরি করে আসছেন হাসপাতালে। পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলেই জানান হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ।

Balurghat: লাইন দিয়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ, উধাও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক, পরে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়ে বললেন, 'আমায় হেনস্থা করছে'
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2025 | 8:02 PM
Share

বালুরঘাট: কেউ শুক্রবার বিকেল, আবার কেউ শনিবার সকাল থেকেই মৃতদেহ নেওয়ার জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে বসে রয়েছেন। এদিকে পুলিশ ও মৃতের পরিবার পরিজন বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের মর্গে ভিড় জমালেও দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও আসছেন না ভারপ্রাপ্ত ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এদিকে ময়নাতদন্তের জন্য একসঙ্গে হাসপাতালের মর্গে রয়েছে ৯টি মৃতদেহ। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও চিকিৎসক না আসায় বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবার পরিজন। এমনকী মর্গের গেটে তালা মারতে উদ্যত হয় তারা। পরে পুলিশ হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। খানিকবাদে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ফোনে ফরেন্সিকের দায়িত্বে থাকা মহিলা চিকিৎসক অঙ্কিতা চুনাকর আসেন। কিন্তু বিক্ষোভের মুখে তিনিও ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে ময়নাতদন্ত শুরু করতে অস্বীকার করেন। বিকেল পাঁচটা পর অবশেষে ময়নাতদন্তের কাজ শুরু করেন তিনি। তবে এলাকাবাসীর দাবি, এই সমস্যা একদিনের নয়। দীর্ঘদিন ধরে এই চিকিৎসক দেরি করে আসছেন হাসপাতালে। পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলেই জানান হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, দীর্ঘ বছর বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে স্থায়ী কোনও ফরেন্সিক চিকিৎসক ছিলেন না। প্রায় চার-পাঁচ মাস আগে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজে যোগ দেন অঙ্কিতা চুনাকর। কিন্তু যোগদানের পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দেরিতে আসা, সময় মতো ময়নাতদন্ত না করা এবং পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেরিতে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এই সব কারণে প্রায় ১০০ রিপোর্ট এখনও ঝুলে রয়েছে। শনিবারের মৃতদেহগুলি গঙ্গারামপুর, তপন, বালুরঘাট, বংশীহারি সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে বালুরঘাট মর্গে। এদিন সকাল থেকেই পুলিশ ও পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে অপেক্ষা করছিল। বিক্ষোভের বিষয় জানতে পেরে বিকেল তিনটের পর হাসপাতালে আসেন ওই চিকিৎসক। এ বিষয়ে মৃতের এক আত্মীয় বিপ্লব মণ্ডল বলেন, “সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। চিকিৎসক না এসে উল্টে আমাদের হুমকি দিচ্ছেন।” এ দিকে, ওই মহিলাকে যখন প্রশ্ন করা হয় তিনি আবার উল্টে জানান, তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে।