Murder: লরি কেনার টাকা না পেয়ে শ্বশুরের উপর রাগ, স্ত্রীকে খুনে অভিযুক্ত ব্যক্তি

Murder: মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ি কুমারগঞ্জ ব্লকের চকবংশী এলাকায়। প্রায় বছর দুয়েক আগে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় মৌমিতা ও সন্তুর৷ তাঁদের একটি নয় মাসের সন্তান রয়েছে।

Murder: লরি কেনার টাকা না পেয়ে শ্বশুরের উপর রাগ, স্ত্রীকে খুনে অভিযুক্ত ব্যক্তি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2022 | 12:11 AM

হিলি : দাবি মত টাকা না পাওয়ায় স্ত্রীকে খুন (Murder) করার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার হিলিতে৷ মৃতার নাম মৌমিতা দাস (৩০)। শ্বশুর বাড়ি হিলি থানার পাঞ্জুল গ্রাম পঞ্চায়েতের রামকৃষ্ণপুরে৷ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হিলি হাসপাতালের সামনে মৃতদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। পরে খবর পেয়ে রাতের বেলায় হিলি গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের নিথর দেহ দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। তাঁর শরীরে একাধিক জায়গায় ক্ষত চিহ্নও রয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক গৃহবধূর স্বামী সন্তু দাস৷ শক্রবার হিলি থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীর বাবা ও মাকে আটক করেছে। 

সূত্রের খবর, মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ি কুমারগঞ্জ ব্লকের চকবংশী এলাকায়। প্রায় বছর দুয়েক আগে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় মৌমিতা ও সন্তুর৷ সন্তুর মুদিখানার দোকান রয়েছে। তাঁদের একটি নয় মাসের সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় দাবি মত ছেলেকে পণও দিয়েছিলেন মৌমিতার পরিবার। অভিযোগ, বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই সংসারে অশান্তি বাড়তে থাকে৷ স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে স্বামী। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে লরি কেনার জন্য জামাইকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন মৌমিতার বাবা নয়ন দাস। এদিকে লরি কিনে দেওয়ার পরেও টাকা চাইতে থাকে সন্তু৷ দাবি মত টাকা না পেলেই মেয়ের উপর চলত অত্যাচার। কিছু দিন আগে এক লাখ টাকা বাপের বাড়ি থেকে আনতে বলেছিল স্ত্রীকে। সেই টাকার জোগাড় করতে না পারার কারণে বা দিতে না পারায় মেয়েক খুন করে হাসপাতালের সামনে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। এমনটাই অভিযোগ মৃতার পরিবারের।

এবিষয়ে মৃতা গৃহবধূর বাবা নয়ন দাস জানান, দেখাশোনা করেই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পরই থেকে টাকার জন্য মেয়েকে চাপ দিত জামাই। টাকা না দিলে মারধর করা হত। লরি কেনার জন্যও টাকা দিয়েছিলেন জামাইকে। এমনকি বেশ কয়েকবার লরির ইএমআইয়ের টাকাও দিয়েছেন। আবার নতুন করে ১ লাখ টাকার দাবি করেন সন্তু। সেটা দিতে না পারায় মেয়েকে তাঁর জামাই খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সন্তুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও করেছেন তিনি।