Siliguri: ‘খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছিল ব্যবসা’, ৬ ক্লাস্টারের ঘোষণায় কালীপুজোর আগে নতুন স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসায়ীরা
Firecrackers: শিলিগুড়িতে একাধিক জনবসতি এলাকায় বহু বাজির দোকান থাকলেও এগরায় বিস্ফোরণের পর থেকেই সমস্ত দোকানের স্থায়ী বাজি বিক্রির লাইসেন্স প্রত্যাহার করেছিল রাজ্য। স্থানীয়ভাবে অস্থায়ী লাইসেন্স দেওয়া হয় বিক্রেতাদের।

শিলিগুড়ি: ৬টি জায়গায় গ্রিন বা সবুজ বাজি কারখানার ক্লাস্টার তৈরির অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তালিকায় পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর পাঁশকুড়া, হাবরা, এবং হাওড়ার উদযনারায়ণপুরের পাশাপাশি শিলিগুড়ির নাম রয়েছে। তাতেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে গোটা শহরজুড়ে। বাজির দোকান আছে। কিন্তু বাজি মজুত করার পরিকাঠামো নেই। এই পরিস্থিতিতে লুকিয়ে-চুরিয়ে ঝুঁকি নিয়েই কিছু বাজি বিক্রি হলেও সারা বছর বাজির বিক্রি কার্যত তলানীতে গিয়ে ঠেকেছিল। রাজ্যের তরফে বাজির ক্লাস্টারের ঘোষণায় এবার আশায় বুক বাঁধেছেন ব্যবসায়ীরা।
শিলিগুড়িতে একাধিক জনবসতি এলাকায় বহু বাজির দোকান থাকলেও এগরায় বিস্ফোরণের পর থেকেই সমস্ত দোকানের স্থায়ী বাজি বিক্রির লাইসেন্স প্রত্যাহার করেছিল রাজ্য। স্থানীয়ভাবে অস্থায়ী লাইসেন্স দেওয়া হয় বিক্রেতাদের। কিন্তু, বাজি মজুত রাখার পাকাপাকি কোনও পরিকাঠামো না থাকায় সব মিলিয়ে বিপাকে পড়ে যান বিক্রেতারা। এবার রাজ্যের ছ’টি বাজি ক্লাস্টার তৈরি হলে স্থায়ীভাবে বাজি বিক্রির কারবার বাড়বে বলেই আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
শিলিগুড়িতে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে দোকানেই সারা বছর বাজি বিক্রি হত। কোভিডকালের পর এগরায় বিস্ফোরণের পরেই স্থায়ী লাইসেন্স প্রত্যাহার করে রাজ্য। বাজির বিক্রিও বন্ধ হয়ে যায়। কালীপুজো এলে বাজিমেলার মাধ্যমে কিছু বাজি বিক্রি করেই খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছিল ব্যবসা। ব্যবসায়ীদের দাবি, ক্লাস্টার হলে পরিকাঠামো গড়বে সরকার। বাজি মজুদ রাখা যাবে। ফলে বছরের নানা অনুষ্ঠানে বাজির বিক্রি বাড়বে। তাতে সরকারও বাড়তি করও পাবে। এখন দেখার জল শেষ পর্যন্ত কতদূর গড়ায়।
