Wedding Story: সব ঠিক করেও বিয়ে করতে গেল না পাত্র, সুন্দরবন থেকে সোজা উত্তরপাড়ায় ছুটে এলেন যুবতী
Uttarpara: ঘটনার খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। একসঙ্গে তোলা সেলফি দেখাতে দেখাতে যুবতীর অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে সোনার গহনা, নগদ টাকা সবই নিয়েছে ওই যুবক। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁর জ্যাঠামশাই শ্যামল ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, “কোনও এক সংস্থার অপারেশান ম্যানেজার বলে পরিচয় দিয়েছিল।”

উত্তরপাড়া: দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। শেষ পর্যন্ত দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়েও ঠিক হয়। গত কয়েক মাস ধরেই পুরোদমে চলছিল তোড়জোড়। মহাসমারোহে বসে বিয়ের আসরও। কিন্তু লগ্ন পেরিয়ে গেলেও এল না পাত্র। মেয়ে থেকে শুরু করে মেয়ের পরিবারের সদস্যরাও লাগাতার ফোন করলেও ছেলেকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। কিছুক্ষণ পর তা বন্ধ। পরের দিন সোজা উত্তরপাড়ায় ওই যুবকের বাড়ি চলে আসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন পুলিশ জেলার মন্দিরবাজার থানা এলাকার দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গ্রামের শ্বেতা ভট্টাচার্য। তাঁরই বিয়ের কথা ছিল মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই যুবকের সঙ্গে। উত্তরপাড়ায় তাঁর সঙ্গে আসেন তাঁর জ্যাঠামশাই। কিন্তু যুবকের বাড়িতে অনেক ডাকাডাকি করেও কারও সাড়া পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত তাঁরা উত্তরপাড়া থানার দ্বারস্থ হন।
এদিকে ঘটনার খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। একসঙ্গে তোলা সেলফি দেখাতে দেখাতে যুবতীর অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে সোনার গহনা, নগদ টাকা সবই নিয়েছে ওই যুবক। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁর জ্যাঠামশাই শ্যামল ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, “কোনও এক সংস্থার অপারেশান ম্যানেজার বলে পরিচয় দিয়েছিল। ওর কাকা কাকিমারা জানে ছেলেটি প্রতারক। আমাদের মেয়ে প্রতারণার শিকার। আর কোনও মেয়ের যাতে এই পরিণতি না হয় তাই থানায় এসেছি।”
শ্বেতা ভট্টাচার্য বলছেন, “এরকম ঘটনা ঘটবে ভাবতেই পারিনি। বিয়ের আসরে অনেক লোক নিমন্ত্রিত ছিল। খুবই সম্মানহানি হয়েছে আমাদের। ও বলেছিল ওর পরিবারে নাকি কেউ নেই। শুধু ও একা আছে। কাল ওর দুপুরেই চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুপুর থেকেই ওকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। ওর আগে একটা বিয়ে হয়েছিল শুনেছিলাম। স্ত্রী মারা গিয়েছে। কিন্তু এখানে এসে জানতে পারছি আগের স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। এখন আবার একটা বউ আছে।”
