Arambag Flood Situation: বাড়ছে নদীর জল, দোসর ডিভিসি! প্রহর গুনছেন আরামবাগ-খানাকুলের দুর্গতরা
Arambag Flood Situation: পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের ফলে একদিকে যেমন শিলাবতী ও দারকেশ্বরের জল ক্রমশই বাড়ছে, অন্যদিকে মুন্ডেশ্বরী নদী দিয়ে ডিভিসির জল খানাকুলের পানশিউলিতে রূপনারায়ণে আসছে।
আরামবাগ: নিম্নচাপের দুর্যোগে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গ। চলছে ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টি। ক্রমশই জল বাড়ছে দামোদর ও তার শাখানদী মুন্ডেশ্বরী নদীতে। প্রহর গুনছে আরামবাগের বাসিন্দারা।
যদি ডিভিসি আবারও জল ছাড়ে তাহলে ভাসবে খানাকুল। পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের ফলে একদিকে যেমন শিলাবতী ও দারকেশ্বরের জল ক্রমশই বাড়ছে, অন্যদিকে মুন্ডেশ্বরী নদী দিয়ে ডিভিসির জল খানাকুলের পানশিউলিতে রূপনারায়ণে আসছে। ইতিমধ্যেই খানাকুলের আবারও জলের চাপ বাড়ছে। রূপনারায়ণের ভাঙ্গা নদী বাঁধগুলি দিয়ে জল ঢুকছে খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ফলে আবারও সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে পড়বে খানাকুল।
গড়বেতা রাজ্য সড়কের ওপর জল উঠেছে। গ্রামবাসীরা বিপদের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছেন। বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর জয়পুরে লাগাতার বৃষ্টিপাতের ফলে খাল-বিল মাঠ-ঘাট জলে ভরে উঠেছে। আর সেই জল প্রবাহিত হচ্ছে গোঘাটের কামারপুকুর দিয়ে। ক্রমশই জল বাড়ছে। কামারপুকুর-জয়রামবাটি রাস্তাতে ও জল উঠেছে।
হুগলির আরামবাগ,খানাকুল ,পুড়শুড়া ও গোঘাটের মানুষ চিন্তিত। এমনিতেই খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রাম এখনও জলের তলায়। বেশ কিছু এলাকায় দুর্গতরা ছাদে ত্রিপল টানিয়ে জীবন যাপন করছেন। রাত থেকে বৃষ্টিতে সেই সমস্ত বন্যাদুর্গতদের অবস্থা আরও করুণ হয়ে উঠেছে।
এদিকে, ঘাটালের পরিস্থিতিও সঙ্কটজনক। বাংলার দুয়ারে রয়েছে নিম্নচাপের আশঙ্কা। নিম্নচাপ সরাসরি ঢুকবে বাংলায়। তার জেরেই দু’দিনের দুর্যোগ। বেলা বাড়লেই বাড়বে বৃষ্টি। আজ বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরে জারি লাল সতর্কতা। দিনভর চলবে ভারী বৃষ্টি। ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে এলাকায়।
ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও আবার জল বাড়তে শুরু করে। চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন ঘাটালের বানভাসি এলাকার মানুষ। গবাদি পশুদেরও খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। জলের মধ্যে তারাও সাঁতরে যাচ্ছে অন্যত্র খাবারের সন্ধানে। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে ডিঙি নৌকয় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের। পানীয় জলের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
টিউবয়েল থেকে শুরু করে ট্যাপ কল সব ডুবেছে জলে। নৌক করে প্রায় দু’কিলোমিটার দূর থেকে নিয়ে যেতে হচ্ছে পানীয় জল। বন্যার জল বাড়ায় খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন ঘাটালের বানবাসি এলাকার মানুষ।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলেও, জল কমতে শুরু করেছিল ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকায়। কিন্তু আবার গত দু’দিনের মুষুলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর তাতে নতুন করে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দাদের। ফের তৈরি হয়েছে সেই একই পরিস্থিতি। এখনও ঘাটালের মানুষদের যাতায়াতের একমাত্র উপায় নৌকো বা ডিঙি।
জেলায় জারি লাল সতর্কতা। মঙ্গলবারই চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের জাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের করঞ্জি গ্রামে মাটির দেওয়ার চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার।
আরও পড়ুন: Abhijit Murder Case: হোমগার্ডকে ‘চড়’, অন্তবর্তী জামিন পেলেন বিজেপি নেতা