AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kabir Sankar Bose: ৩টে ক্রিমিন্যাল কেস, পাঁচ কোটির সম্পত্তি, কল্যাণের মেয়েকে ডিভোর্স দিয়ে জীবনের বড় সিদ্ধান্ত! শ্রীরামপুরের ‘পারিবারিক লড়াইয়ে’র অতীত জানেন?

Kabir Shankar Ghosh: পেশায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কবীরশঙ্কর। ২০০৬ সালে তিনি সুইৎজারল্যান্ডের লসেন বিজ়নেস স্কুল থেকে MBA করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড থেকে এলএলবি পাশ করেন।

Kabir Sankar Bose: ৩টে ক্রিমিন্যাল কেস, পাঁচ কোটির সম্পত্তি, কল্যাণের মেয়েকে ডিভোর্স দিয়ে জীবনের বড় সিদ্ধান্ত! শ্রীরামপুরের 'পারিবারিক লড়াইয়ে'র অতীত জানেন?
Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Mar 28, 2024 | 1:40 PM
Share

হুগলি: কবীর শঙ্কর বোস। শ্রীরামপুরের তৃণমূলের পোড় খাওয়া প্রার্থী আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁকেই দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। শ্রীরামপুরের রাজনৈতিক ময়দানে প্রচারে ঝড় তুলছেন দুজনেই। কবীর শঙ্কর বোস, নিজেও একজন আইনজীবী। শ্রীরামপুরে ভোট ময়দানে নামা এই দুই প্রার্থীর নেপথ্যে রয়েছে একটি পারিবারিক লড়াইও। কারণ ঘটনাচক্রে কবীরশঙ্কর কল্যাণের প্রাক্তন জামাই। কল্যাণের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কবীরের। ২০১৭ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। কিন্তু কবীরের আরও একটি পরিচয় রয়েছে।

পেশায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কবীরশঙ্কর। ২০০৬ সালে তিনি সুইৎজারল্যান্ডের লসেন বিজ়নেস স্কুল থেকে MBA করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড থেকে এলএলবি পাশ করেন। ২০০৬ সালে সুইজারল্যান্ড থেকে এমবিএ পাস করেন। গত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর থেকে বিজেপির প্রার্থী করা হয় কবীরশঙ্কর বোসকে। তবে সেই নির্বাচনে তিনি প্রায় ২৩ হাজার ভোটে তৃণমূল প্রার্থী ডাক্তার সুদীপ্ত রায়ের কাছে পরাজিত হন।

যদিও এরপর আর তাঁকে শ্রীরামপুরে দেখা যায়নি। ২০১০ সালে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে প্রমিতির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যদিও সেই বিয়ে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।২০১৭ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।  ২০১৯ সালে রাজনীতির ময়দানে পা দেন তিনি। এবার প্রাক্তন শ্বশুরমশাইয়ের বিরুদ্ধেই প্রার্থী কবীর।

তবে কবীরের বিরুদ্ধে তালতলা ও শ্রীরামপুর থানায় তিনটি ক্রিমিন্যাল কেস রয়েছে। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৯-২০ সালে কবীরশঙ্করের আয় ছিল ১৯ লক্ষ ১৯ হাজার ৪১০ টাকা। তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি ৪৩ লক্ষ ৯১ হাজার ও স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি ৬২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এবার পূর্বতন শ্বশুরের বিরুদ্ধে ময়দানে তিনি। এর আগেও কল্যাণ যখন উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের উদ্দেশ অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে, তখনও তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন প্রাক্তন জামাতা। এবার ‘প্রাক্তন’ জামাই-শ্বশুরের লড়াই দেখবে শ্রীরামপুর।