Hooghly: বেতন হচ্ছে না, তাই বিল মেটাতে পারেননি,বিদ্যুতের লাইন কাটল বিদ্যুৎ দফতর
Hooghly: পৌর কর্মচারী সংগঠনের নেতা অসীম অধিকারী বলেন, "আমাদের এক সহকর্মী বিদ্যুৎ দফতরেই কাজ করেন। বিল মেটাতে পারেননি বলে তার লাইন কেটে দিয়ে যায়। আমরা সাহায্য করেছি। কিন্তু পুরসভা তিন মাস বেতন দেয়নি। কী করে চলবে সবারই এক অবস্থা।"
হুগলি: পুরোসভার বিদ্যুৎ বিভাগে কাজ করেন। শহর আলো করে রাখেন। তাঁর বাড়িই অন্ধকার! তিন মাস বেতন পাননি। বিদ্যুৎ-এর বিল মেটাতে না পারায় লাইন কেটে দিয়ে যায় বিদ্যুৎ দফতর। যে সময় এই ঘটনা তখন ওই ব্যক্তির সহকর্মীরা বকেয়া বেতনের দাবিতে পুরসভার গেটে আন্দোলন করছেন। তবে দেবাশিসের বাড়িতে বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়েছে শুনে সহকর্মীরা গামছা পেতে চাঁদা তোলা শুরু করেন। দশ কুড়ি টাকা করে অনেকেই দিয়ে গেলেন। যা নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে বিল মেটান দেবাশিস।
নিজেদেরই নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। দীর্ঘ তিন মাস বেতন হয়নি হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার অস্থায়ী পৌর কর্মচারীদের। তবু সহকর্মীদের পাশে দুর্দিনে তারাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। হুগলি-চুঁচুড়া পৌরসভার বিদ্যুৎ দফতরের অস্থায়ী কর্মচারী দেবাশিস চক্রবর্তী। তাঁর বাড়ির তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল মেটাতে না পাড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়ে যায় বিদ্যুৎ দফতর। দেবাশিস বিষয়টি জানান তাঁর সহকর্মীদের। তার পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সহকর্মীরা। বিলের টাকা তোলার জন্য গামছা পাতা হয়। সকলের সাধ্যমত অর্থ সহযোগিতা করে তার বিলের অর্থ তুলে দেন সহকর্মীর হাতে।
পৌর কর্মচারী সংগঠনের নেতা অসীম অধিকারী বলেন, “আমাদের এক সহকর্মী বিদ্যুৎ দফতরেই কাজ করেন। বিল মেটাতে পারেননি বলে তার লাইন কেটে দিয়ে যায়। আমরা সাহায্য করেছি। কিন্তু পুরসভা তিন মাস বেতন দেয়নি। কী করে চলবে সবারই এক অবস্থা।” দেবাশিস সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “পুরসভার বেতন পাইনি। একটা ভাড়ার টোটো চালাই সংসার চালাতে। পাঁচ হাজার ছ’শো টাকা বিদ্যুতের বিল এসেছে। দিতে পারিনি তাই লাইন কেটে দিয়েছে। আমার ছেলের পরীক্ষা চলছে। ঘর অন্ধকার থাকবে। সহকর্মীদের বললাম ওরা সবাই সাহায্য করেছে।”
অন্যদিকে বেতন না হওয়ায় জল আলো ছাড়া অন্য পরিষেবা বন্ধ রেখেছে চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা।ফলে শহরে জঞ্জলের স্তূপ জমছে। নর্দমা-নিকাশি-জঞ্জাল সাফাই বন্ধ থাকায় শহরে দূষণ বাড়ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সমস্যা মেটানোর জন্য দু সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে।
পুরপ্রধান অমিত রায় জানান, “নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়া আমাদের কর্তব্য। কিন্তু সেটা বন্ধ রেখে আন্দোলন করলে মানুষ ভালভাবে নেবে না। বেতনের সমস্যা আছে। কেন্দ্র সরকার পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা দিচ্ছে না।”