AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bhabadighi: ভাবাদিঘি দিয়ে কি চলবে না ট্রেনের চাকা? শুরুর পরও আটকেই থাকল কাজ

Bhabadighi Rail Project: সেই খবর টিভি ৯ বাংলা সম্প্রচার করতেই ফের তৎপর হয় পুলিশ। আরামবাগের SDPO-র নেতৃত্বে ভাবাদিঘির আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তারা। গ্রামবাসী প্রতিশ্রুতি পুরনের দাবি জানান পুলিশকে। আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করা হয় ভাবাদিঘির অংশে কাজ এখনই হবে

Bhabadighi: ভাবাদিঘি দিয়ে কি চলবে না ট্রেনের চাকা? শুরুর পরও আটকেই থাকল কাজ
ভাবাদিঘিতে কাজ আটকেImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2025 | 8:08 PM
Share

হুগলি: বাংলায় প্রবাদ আছে, ‘না আঁচালে বিশ্বাস নেই’। ভাবাদিঘির রেল প্রোজেক্টের অবস্থাও তেমনই। কারণ, ২৪ বছর আগে শিল্যান্যাস হওয়া তারকেশ্বর-বিষ্ণপুর রেলপ্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে এই ভাবাদিঘির জন্য। গত বৃহস্পতিবার কাজ শুরু হলেও, আবারও গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জন্য আটকে যায়। সেই খবর টিভি ৯ বাংলা সম্প্রচার করতেই ফের তৎপর হয় পুলিশ। আরামবাগের SDPO-র নেতৃত্বে ভাবাদিঘির আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তারা। গ্রামবাসী প্রতিশ্রুতি পুরনের দাবি জানান পুলিশকে। আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করা হয় ভাবাদিঘির অংশে কাজ এখনই হবে না।

পুলিশ সূত্রে খবর, এখন আপাতত ভাবাদিঘির অংশটুকু বাদ রেখে কাজ হবে গোঘাট স্টেশনের দিকের। ওই দিকের অংশেই মাটি ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সকাল থেকেই বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র‌্যাফ মোতায়েন রয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরের পরেই ভাবাদিঘির অংশে পেলোডার নিয়ে কাজ করতে আসে রেল। তখনই গ্রামবাসীরা রে রে করে বেরিয়ে আসেন। আন্দোলনকারীদের বর্তমান দাবি, যে প্রতিশ্রুতি সরকার দিয়েছে তা পূরণ হয়নি। আগে প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে তারপরই কাজ হবে এখানকার।

আন্দোলনকারী দিলীপ পণ্ডিত বলেন, “আমাদের যে প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছিল, সেখানে সিদ্ধান্ত হয় দিঘি বাদে আশপাশের জায়গায় রেল কাজ করবে। কিন্তু কাজ শুরু হল, তবে আমাদের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল সেটা মানছে না। আমাদের ডাকছে না কাজে। আমাদের না জানিয়ে কেন কাজ করছে? রেল দিঘি বাদ দিয়ে কাজ করছে।”

২০০১ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারকেশ্বর-বিষ্ণপুর রেলপ্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। হয় শিলান্যাসও। এই রেল প্রকল্প চালু হলে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সঙ্গে হাওড়ার দূরত্ব অনেকটাই কমবে। তবে অনেক জটিলতায় কাজ আটকে ছিল। পরে শুরু হলেও আবারও আটকে গেল কাজ।