TMC on Suvendu Adhikari: পা পড়েছিল শুভেন্দুর, সিঙ্গুরে গোবর জল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ তৃণমূলের
TMC on Suvendu Adhikari: টাটার শোক মিছিলে গিয়ে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত খড়গহস্ত হয়েছিলেন শুভেন্দু। লাগাতার চাঁচাছোলা ভাষায় দাগেন তোপ। সিঙ্গুর থেকে টাটা বিদায়ের জন্য ফের একবার কাঠগড়ায় তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছিল ঘাসফুল শিবির।
সিঙ্গুর: একদিন আগেই সিঙ্গুরে পা পড়েছিল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। রতন টাটার স্মরণে করেছিলেন শোক মিছিল। করেন সভা। ফের নতুন করে সিঙ্গুর থেকেই আন্দোলনের ডাক দেন। গোপালনগরে যে জায়গায় শুভেন্দু সভা করেছিলেন ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই গঙ্গাজল দিয়ে সেই জায়গা শুদ্ধিকরণ করা হল। সিঙ্গুর কৃষি জমি রক্ষা কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সিঙ্গুরের বহু কৃষক-সহ একাধিক তৃনমূল নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। গোবর জল ছিটিয়ে ঝাঁটা দিয়ে ওই জায়গা পরিষ্কার করার পাশাপাশি ওড়ানো হয় কালো বেলুন।
প্রসঙ্গত, টাটার শোক মিছিলে গিয়ে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত খড়গহস্ত হয়েছিলেন শুভেন্দু। লাগাতার চাঁচাছোলা ভাষায় দাগেন তোপ। সিঙ্গুর থেকে টাটা বিদায়ের জন্য ফের একবার কাঠগড়ায় তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রয়োজনে হাতে-পায়ে ধরে টাটাদের ফেরানোর কথাও বলেন তিনি। লোকসভা ভোট হোক বা বিধানসভা ভোট, আজও বারবার ফিরে ফিরে আসে এই সিঙ্গুরের প্রসঙ্গ। সিঙ্গুরে শিল্প বনাম কৃষি, দুইয়ের লড়াই আজও অব্যাহত। এমতাবস্থায় শুভেন্দুর সিঙ্গুর ‘সফর’ ঘিরে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতির আঙিনায়। তবে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না তৃণমূল নেতারা। শুভেন্দুকে ‘বেইমান’, ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে কটাক্ষও করেছেন বেচারাম মান্না।
এদিকে এদিনের কর্মসূচি সম্পর্কে সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি আনন্দ মোহন ঘোষ বলেন, “২০০৬ সালে সিঙ্গুরে জোর করে জমি অধিগ্রহণ এর বিরুদ্ধে মমতার আন্দোলন মঞ্চ থেকে টাটার বিরুদ্ধে বক্ত্যব রেখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ সিঙ্গুরে এসে টাটাদের হয়ে কথা বলছেন। এনাদের অনেক মুখ, কোনটা মুখোশ আর কোনটা মুখ তা বোঝা যায় না। এরা রাজনীতির কারবারি। রাজনৈতিক লাভের জন্য এখানে এসেছিল মানুষকে বিভ্রান্ত করতে । তাই এখানকার মানুষ গঙ্গাজল ছিটিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।” পাল্টা কটাক্ষবাণ শানিয়েছে পদ্ম শিবির। বিজেপির সিঙ্গুর বিধানসভা কনভেনার মধুসূদন দাস আবার খোঁচা দিয়ে বলেন, “আসলে শুভেন্দু অধিকারী বেচারামবাবুদের ছাল ছাড়িয়ে নুন দিয়েছেন। তাতেই ওদের গায়ে গরম জল পড়ার মতো অবস্থা হয়েছে।”