Hooghly: ‘রোম্যান্সের করে বেড়াচ্ছেন পঞ্চায়েত প্রধান’, পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের
Hooghly: এদিকে পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ, প্রধান শুধু তাঁর নিজের ও ঘনিষ্ঠদের এলাকায় কাজ করেন। বাকি কোথাও কাজ করেন না। যার ফলে এলাকার উন্নয়ন থমকে আছে। দলের কোনও কথাও নাকি তিনি শোনেন না। এ নিয়ে কথা বলতেই এদিন পঞ্চায়েত অফিসে আসেন পঞ্চায়েত সদস্য থেকে দলের কর্মীরা।
পোলবা: নিজের খেয়ালে চালাচ্ছেন পঞ্চায়েত। অভিযোগ, কাজ তো দূর, পঞ্চায়েত অফিসে বসে দই-আইসক্রিম খেয়ে সময় কাটান। কাজের সময়ে চলে রোম্যান্স। প্রধানের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন দলের কর্মী থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সদস্যরা। চলল বিক্ষোভ, উঠল জয় বাংলা স্লোগান। এদিন এমনই ছবি দেখা গেল হুগলির পোলবার রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতেরই প্রধান প্রিয়াঙ্কা শূর। তাঁর বিরুদ্ধেই উঠছে গুরুতর অভিযোগ। যা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে এলাকার রাজনৈতিক মহলে। যদিও প্রধান বলছেন, সবই চক্রান্ত তাঁকে সরাতেই এ সব করা হচ্ছে।
এদিকে পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ, প্রধান শুধু তাঁর নিজের ও ঘনিষ্ঠদের এলাকায় কাজ করেন। বাকি কোথাও কাজ করেন না। যার ফলে এলাকার উন্নয়ন থমকে আছে। দলের কোনও কথাও নাকি তিনি শোনেন না। এ নিয়ে কথা বলতেই এদিন পঞ্চায়েত অফিসে আসেন পঞ্চায়েত সদস্য থেকে দলের কর্মীরা। কিন্তু কথা বলতে বলতেই সেখানে উত্তেজনার ছবি দেখা যায়। তৃণমূলের রাজহাট অঞ্চল সভাপতি রূপকুমার কর বলছেন, “প্রধান আমাদের কোনও কথা শোনে না। যা মনে হয় তাই করে যান নিজের খেয়াল খুশিতে।” অন্যদিকে তৃণমূল কর্মী সন্দীপ মালাকার আবার একটি ছবি দেখিয়ে অভিযোগ করেন, “স্বামীর সঙ্গে বাড়িতে রাগ অভিমান হলে সেটা পঞ্চায়েত এসে মেটান। কখনও দই খাইয়ে, কখনও আইসক্রিম খাইয়ে রাগ ভাঙান। পঞ্চায়েত অফিসটা কাজের জায়গা, কিন্তু উনি রোমান্সের জায়গা বানিয়ে ফেলেছেন।”
বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, প্রধানের এই সব কার্যকলাপের জন্যই প্রধানের নিজের বুথে দল হেরেছে। এমনকী তিনি বিজেপি ঘেঁষা হয়ে গিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাঁর পদত্যাগেরও দাবি করছেন দলের কর্মীরা। যদিও প্রিয়াঙ্কা দেবী সব অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলছেন, “কোনও সমস্যা তৈরি হলেই আমি সমাধান করার চেষ্টা করি। আমি কাজ করি না বলে যে অভিযোগ আসছে তা মিথ্যা। উল্টে পঞ্চায়েত সদস্যদের কাঁধে দায় ঠেলে তিনি বলছেন, সদস্যরাই পঞ্চায়েতে আসেন না।”