Bangladeshi Infiltration: সন্তানের টানে এজেন্টকে টাকা দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা, কাঁটাতার পেরোতেই ৪ বাংলাদেশিকে ধরল BSF
Bangladeshi Infiltration: শুক্রবার জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বেরুবাড়ি এলাকা থেকে তাঁদের পাকড়াও করে বিএসএফ। ওই এলাকায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চিংড়িমারিতে কাঁটাতারের বেড়ার নীচ দিয়ে ভারতের দিকে প্রবেশ করছিলেন তাঁরা।
জলপাইগুড়ি: বাংলাদেশের বাসিন্দা বিমল অধিকারী। বয়সের ভারে নুব্জ। তিন ছেলে রয়েছে তাঁর। দুই ছেলে কাজ করে ভারতে। আর একছেলে থাকে বাংলাদেশে। ছেলের সঙ্গে দেখা করতে ভারতে আসছিলেন বিমল। কিন্তু পাসপোর্ট বা ভিসা কিছুই ছিল না। অতঃপর, কাঁটাতার পেরিয়েই ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। আর তাতেই ধরা পড়ে যান বিএসএফ-এর হাতে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে বিমল অধিকারী সহ চার বাংলাদেশিকে (Bangladeshi Infiltration) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)। শুক্রবার জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বেরুবাড়ি এলাকা থেকে তাঁদের পাকড়াও করে বিএসএফ। ওই এলাকায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চিংড়িমারিতে কাঁটাতারের বেড়ার নীচ দিয়ে ভারতের দিকে প্রবেশ করছিলেন তাঁরা।
সীমান্তবর্তী এলাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছিলেন বিএসএফ-এর জওয়ানরা। কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে ঢোকার চেষ্টার সময় সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের নজরে আসে বিষয়টি। সেই চারজনের মধ্যে ছিল এক শিশু, দুই মহিলা ও একজন পুরুষ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের নজরে বিষয়টি আসতেই তাঁদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সময়েই জানা যায়, ওই চারজন অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার নারায়ণপুরের বাসিন্দা।
কিন্তু সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের সময়ে তারা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের জন্য কোনও বৈধ পাসপোর্ট দেখাতে পারেননি। এরপরই বিএসএফ জওয়ানদের সন্দেহ হয় তারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। সেই কারণে ওই চারজনকে জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে। যে চারজনকে পাকড়াও করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে বিমল অধিকারী, মালতি অধিকারী, বনা অধিকারী এবং তাঁদের সঙ্গে এক নাবালকও রয়েছে। আজ ধৃতদের জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে বিমল অধিকারী নামে ওই প্রৌঢ়ও জানাচ্ছেন, তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং ভারতে আসছিলেন। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের এক এজেন্টকে ধরে অবৈধভাবে পাসপোর্ট ছাড়াই সীমান্ত পার করার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। এর জন্য ওই এজেন্টকে প্রৌঢ় তিন হাজার টাকাও দিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। সেই মতো ওই এজেন্ট প্রৌঢ় ও বাকিদের বাংলাদেশের সীমান্ত পার করে দিয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার সময়েই বিএসএফ-এর হাতে ধরা পড়ে যান তাঁরা।
জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ধৃতদের আদালতে পেশ করার পর বিচারক তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন এবং তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।