Rat Fever: আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শো পার! নতুন জ্বরের প্রকোপ ঠেকাতে এবার ইঁদুরের রক্ত পরীক্ষায় জোর
Rat Fever: গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল চেকরমারি গ্রামে থাকা পোল্ট্রি ফার্ম থেকে এই রোগ ছড়িয়েছে। সুনিশ্চিত হতে ফার্ম থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করে বেলগাছিয়া ল্যাবরেটরিতে পাঠায় প্রাণী সম্পদ দফতর। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় কপালে ভাঁজ স্বাস্থ্য দফতরের।

জলপাইগুড়ি: বাড়ছে উদ্বেগ, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকর মারি গ্রাম-সহ মোট ৮ টি গ্রামে লেপ্টোস্পাইরোসিসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে আরও ৯ জন নতুন করে ইঁদুর জ্বর ও জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আগে ছিল ১৪৪ জন। এবার নতুন করে আরও ৯ জন আক্রান্ত হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৩। আক্রান্তদের রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে এনে তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল চেকরমারি গ্রামে থাকা পোল্ট্রি ফার্ম থেকে এই রোগ ছড়িয়েছে। সুনিশ্চিত হতে ফার্ম থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করে বেলগাছিয়া ল্যাবরেটরিতে পাঠায় প্রাণী সম্পদ দফতর। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় কপালে ভাঁজ স্বাস্থ্য দফতরের। পোল্ট্রি ফার্ম বন্ধের দাবিতে সোমবার রাতে গ্রামে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। তাহলে বাহক কি ইঁদুর? নাকি গবাদি পশু? সুনিশ্চিত হতে এবার গবাদি পশুর পাশাপাশি ইঁদুরের রক্ত সংগ্রহ করার ভাবনা স্বাস্থ্য দফতরের। জানাচ্ছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অসীম হালদার।
রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে বেড়েই চলেছে রোগীর সংখ্যা। জন্ডিসের উপসর্গ চোখ হলুদ নিয়ে বেশ কয়েকজন শিশুও হাসপাতালে ভর্তি। এক অসুস্থ বাচ্চার মা প্রভুনা রায় বলেন, “আগেই ছোট মেয়ের আগেই জন্ডিস হয়েছে। কিন্তু এবার বড় মেয়ের জন্ডিস ধরা পড়ল। ওর বয়স ৭ বছর। তাই হাসপাতালে ভর্তি আছে।” সাধনা সরকার বলে আর এক মহিলা বলেন, আমি-সহ আমার বাড়ির সকলে জন্ডিস আক্রান্ত। এখন এই হাসপাতালেই আমার সংসার। শিবানী সরকার জানাচ্ছেন, তাঁর বাচ্চার জন্ডিস ধরা পড়েছে। অনেকদিন থেকেই হাসপাতালে ভর্তি।
উদ্বেগের আবহে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার অসীম হালদার বলেন, ইতিমধ্যে আমরা গ্রাম থেকে ব্লাড স্যাম্পল সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠাচ্ছি। আবার কিছু লেপ্টোস্পাইরোসিসে আক্রান্তের হদিস পাওয়ায় আমরা প্রাণী সম্পদ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। গবাদি পশুর মল-মূত্র সংগ্রহ করে টেস্ট হবে। সঙ্গে ইঁদুর ধরে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতেও বলা হয়েছে। কিন্তু ইঁদুর তাদের আওতায় পড়ে না। বন দফতরের আওতায় পড়ে। বৈঠকে এই সমস্যা জানানো হয়েছে। তাই এবার ইঁদুর ধরার জন্য বন দফতরকে চিঠি দেওয়া হবে।
